সম্প্রতি ওই শিশুকন্যার জন্ম হয়েছে সুদূর মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) হরদা জেলার রাহতগাঁও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু জন্মের পরই ওই শিশুর হাতে-পায়ে ঠিক মেহেন্দির মতো স্পষ্ট ছাপ দেখতে পান তার বাবা-মা সহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী থেকে শুরু করে প্রসবকালীন মায়ের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা। আর তাতেই ওই শিশু কন্যাকে মা দুর্গার প্রতিরূপ বলে ধরে নিয়েছেন শিশুকন্যার বাবা সৌরভ বিশ্বাস। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যেই দূর-দূরান্ত থেকে ওই শিশুটিকে স্বচক্ষে দেখতে ছুটে আসছেন হাজার হাজার মানুষ। নবরাত্রিতে তাহলে কি সত্যিই দেবী এলেন বাঙালির ঘরে?
advertisement
হাসপাতাল এবং ওই শিশুকন্যার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার অর্থাৎ নবরাত্রির প্রথম রাতে ওই শিশুকন্যার জন্ম দেন জুহি বিশ্বাস নামে এক মহিলা। জন্মের পরই ওই শিশুটির হাতে-পায়ের আঙুলে দাগ দেখতে পান স্বাস্থ্য কর্মীরা। এর পরই ওই ঘটনা মুহূর্তে ছড়িয়ে যায় গোটা হাসপাতাল চত্বরে। ওই দাগগুলোকে সহজাত মেহেন্দির ছাপ বলেই মনে করেছেন অনেকেই। ওই শিশুকন্যার বাবা সৌরভ বিশ্বাসের ধারণাও তাই, তিনি বলেন, দিব্য নক্ষত্রের মিলনের কারণেই এমনটা হয়েছে, তাঁদের কন্যা মা দুর্গার প্রতিরূপ। এর পরই ওই শিশুকন্যাকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ।
তবে ঘটনায় গোটা এলাকা তোলপাড় হলেও রাহতগাঁও হেলথ সেন্টারের ইনচার্জ ডা. হর্ষ পটেল বলেন, এমনটা প্রায়ই হয়ে থাকে, সদ্যোজাতর শরীরে দাগ থাকা অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, সঠিক সময়ের আগেই ওই শিশুকন্যার জন্ম হয়েছে। অকাল প্রসবের কারণেই নবজাতকের শরীরে এমন চিহ্ন দেখা গিয়েছে। তবে এই চিহ্নগুলি কয়েক দিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।