ব্যাপারটা কী? বেশ কয়েকটা ১৯তলা বিল্ডিং পর পর। বিল্ডিংয়ের ৬ আর ৭ তলায় মেট্রো স্টেশন। মেট্রোর লাইন সোজা ঢুকে গিয়েছে বিল্ডিংয়ের ভিতর। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির এ এক আশ্চর্য যুগলবন্দি। ইউরোপ এবং আমেরিকাকেও টেক্কা দেবে। যদিও এই ট্রেন পরিষেবা নতুন কিছু না ৷ বেশ অনেক বছর ধরেই চলছে এই ট্রেন ৷ পর্যটকদের কাছেও স্বাভাবিকভাবে এই ট্রেন দেখার হিড়িক পড়ে যায় ৷
advertisement
পাহাড় এবং জঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট শহর চংকিং। এখানেই দেখা যায় এই অদ্ভুত দৃশ্য। শহরের জনসংখ্যা ৪৯ লাখ। আয়তন ৩১ হাজার বর্গমাইল। পাহাড় ঘিরে থাকায় অনেকে একে ‘মাউন্টেন সিটি’-ও বলেন।
আরও পড়ুন- অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম, চাকরি হারালেন রয়্যাল ব্যাঙ্ক অফ কানাডার সিএফও !
একটি ইংরেজি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে চিনে ফাঁকা জমি নেই বললেই চলে। কিন্তু উন্নয়নের কাজ তো আর থেমে থাকতে পারে না। তাই ফ্লাইওভারে লাইন পেতে ছুটছে মেট্রো। আর সেই লাইনই সোজা চলে গিয়েছে ১৯তলা আবাসিক ভবনের বুক চিরে।
একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করা হয় চিনের চংকিং শহরের ট্রেনের এই ভিডিও। ভাইরাল হতে তা খুব বেশি সময় লাগেনি। লাইক, কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিওয়ে দেখা যাচ্ছে, ফ্লাইওভার দিয়ে আসতে আসতে আচমকাই অ্যাপাটর্মেন্টের ভিতর ঢুকে পড়ল মেট্রো। এই দৃশ্য দেখতে শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন রাস্তায়। অনেকে ভিডিও করছেন।
মেট্রোর জোরালো আওয়াজে কানপাতা দায়। দিনরাত এমন চললে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের তো নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। সেদিকে খেয়াল রেখেই মেট্রোর শব্দ কমাতে একাধিক ডিভাইস বসিয়েছে চিনা সরকার। জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে এই রেললাইন চালু হয়। লাইট রেল ক্যাটাগরির ট্রেন চালানো হয়। ফলে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের কোনও সমস্যা হয় না। সিটি ট্রান্সপোর্টের মুখপাত্র বলেছেন, “এই শহরে জায়গা খুব কম। প্রায় সর্বত্রই আবাসন বা বাড়ি। সড়ক ও রেল প্রকল্পের জন্য সরকারকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।’’