ডেলের ভিডিও এখন ঝড়ের বেগে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে উত্তাল সমুদ্রে কায়াকিং করছেন এক যুবক। আচমকাই জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে দেখা গেল তিমিমাছের বিশাল লেজ। ডিঙি নৌকো সমেত আদ্রিয়ানকে গিলে নিল দৈত্যাকার হাম্পব্যাক হোয়েল। কয়েক সেকেন্ড পরই নৌকো ও আদ্রিয়ানকে উগরে দেয় সেই তিমি। আক্ষরিক অর্থেই মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসে সাঁতরে বাবার নৌকোয় উঠে পড়েন আদ্রিয়ান।
advertisement
আরও পড়ুন : ১২০০ কেজি ওজনের ‘গুপ্তচর’ তিমি! রহস্যাবৃতভাবে মৃত বিশাল প্রাণী! ঢেউয়ে ভেসে এলে দেহ
কেমন লাগল তিমিমাছের মুখগহ্বরে ঢুকে? আদ্রিয়ান জানিয়েছেন তাঁর সারা শরীর চটচটে পিচ্ছিল পদার্থে ঢেকে গিয়েছিল। চোখের চারপাশে শুধু ঘন নীল আর সাদা রঙ দেখছিলেন। ধরেই নিয়েছিলেন তিনি মারা যাচ্ছেন। তিমি তাঁকে নৌকোসমেত উগরে দেওয়ার পর প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তার পর প্রাণ বাঁচাতে ঊর্ধ্বশ্বাসে উল্টো দিকে সাঁতার কাটতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন : নদীতে মিশছে ছাই! মাছ মরে যাওয়ার আশঙ্কা! মুড়িগঙ্গায় ডুবন্ত বাংলাদেশি বার্জ থেকে বিপদের অশনিসঙ্কেত
সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, হাম্পব্যাক তিমিমাছ ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষ শিকার করে না। এই প্রাণীর কণ্ঠনালী অপরিসর ও সঙ্কীর্ণ। ফলে তিমি যেভাবে খায়, অর্থাৎ সরাসরি গলাধঃকরণ করা, সেভাবে মানুষকে গিলে নেওয়া যাবে না৷ তাই ভুল করে আদ্রিয়ানকে গিলে ফেলার কয়েক সেকেন্ড পরই উগরে দেয় তিমিমাছ৷
প্রসঙ্গত ম্যাগেলান প্রণালী তার প্রাণীবৈচিত্রের জন্য পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় ও পছন্দের৷ প্রখর গ্রীষ্মেও এই প্রণালীর জলের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ওঠে না৷ সেখানে এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর আবার যাবেন কায়াকিং করতে? দুঃসাহসী পিতাপুত্রের জুটি ডেল-আদ্রিয়ানে উত্তর, ‘নিশ্চয়ই!’