যুবক নাছোড়। তিনি সিট ছাড়বেন না। কেন ছাড়বেন? জেনারেল সিট, তাঁর বসার অধিকার রয়েছে। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। আশপাশের যাত্রীরাও উৎসুক। জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে যুবকের দিকে। কেউ কেউ বলেও বসেন, “একটু উদার হন। একজন মহিলা বসতে চাইছেন, তাঁকে সিট ছেড়েই না হয় দিলেন।“ যুবকের কোনও তাপউত্তাপ নেই। তিনি সিটে বসেই আছেন। যেন ধনুক ভাঙা পণ করে এসেছেন, যাই হয়ে যাক, সিট তিনি ছাড়বেন না। মহিলা যাত্রীদের মধ্যে ততক্ষণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, একজন মহিলাকে সিট ছাড়বেন না, এ কেমন ব্যবহার?
advertisement
ততক্ষণে একজন মহিলা ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে গোটা ঘটনার ভিডিও করতে শুরু করেন। সঙ্গে যুবককে কিছুটা কটাক্ষের বিঁধে বলেন, “কামরায় বেকার ঝামেলা করছেন। শান্ত হন। অন্তত একবার উদার হওয়ার চেষ্টা করুন। সৌজন্য দেখান।“ যুবক নট নড়ন চড়ন। তিনি সিটেই বসে থাকেন। কাউকে পাত্তা দেন না। নির্দিষ্ট স্টেশন এলে সিট ছেড়ে উঠে নেমে যায়। এই ঘটনার ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। নেটিজেনরা দ্বিধাবিভক্ত। কেউ যুবকের তারিফ করছেন, কেউ ঘোর সমালোচনা।
এক ইউজার লিখেছেন, “যুবক যা করেছেন, ঠিক করেছেন। ওটা তো মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন নয়, তাহলে কেন উঠবেন? ইকুয়ালিটি চাইলে দু’দিক থেকেই দেখাতে হবে।“ আরেক ইউজার অবশ্য এই যুক্তি মানতে রাজি নন। তাঁর কথায়, “ভদ্রতা বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। মহিলা হোক বা বৃদ্ধ, যদি কারও প্রয়োজন থাকে, তাহলে তাঁকে সিট ছেড়ে দেওয়াই উচিত।“ অনেকে আবার বলছেন, এটা যুবকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বরং যিনি ভিডিও করছিলেন, তাঁর উপরেই ক্ষেপে গিয়েছেন তাঁরা। বলছেন, “ওই মহিলা কেন ভিডিও করছিলেন? সিট যদি কেউ ছাড়তে না চায়, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।“ আবার রসিকতার সুরে কেউ কেউ বলেছেন, “এটা যদি মুম্বই লোকাল হত, কেউ তর্ক করার সময়ই পেত না।“