ভারতে এই মুহূর্তে বোর্ড পরীক্ষার মরশুম চলছে। আর পরীক্ষা মানেই এর সঙ্গে থাকে প্রবল মানসিক চাপ। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও এই সময় উদ্বিগ্ন থাকেন। অনেক পরিবারেই মেয়েদের বোঝানো হয়— ভালো নম্বর না পেলে বিয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কিন্তু বিহারের এই তরুণী পরীক্ষার পরিবর্তে প্রেমকে বেছে নিলেন।
আরও পড়ুন: ট্রেনের দরজা বন্ধ হওয়ায় গেট ভাঙছিল উদ্ধত যুবক! চোখে পড়তেই কলার ধরে আরপিএফ তাকে যা করল…দেখুন ভিডিও
advertisement
২২ ফেব্রুয়ারি বিহার বোর্ডের ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালীন এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, এক তরুণী পরীক্ষার হলে যাওয়ার পথে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেন। প্রেমিক হঠাৎ করেই তার কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেন, যা ভারতের বিয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। সেই মুহূর্তে আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন তরুণী। প্রেমিক সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
বিহারে বোর্ড পরীক্ষার সময় পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সমাজের চাপে অনেক মেয়েকে হয় ভালোভাবে পড়াশোনা করতে বলা হয়, নয়তো বিয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের কোন রাজ্যে ‘সবচেয়ে বেশি’ মহিলা মদ্যপান করেন? শুনলেই চমকাবেন…! গ্যারান্টি
অনেক ক্ষেত্রে কঠিন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সামনে মেয়েরা ভয় পেয়ে যান। তারা মনে করেন যে পাশ করতে পারবেন না এবং বাধ্য হয়ে পরিবারের পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে বিয়ে করতে হবে। তাই কিছু মেয়ে তাদের ভালোবাসার মানুষকে বেছে নিয়ে নিজেরাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
অল্প বয়সে বিয়ে করা অনেক মেয়ের জন্য তাৎক্ষণিক আনন্দ ও নিরাপত্তা নিয়ে আসতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি তাদের ব্যক্তিগত উন্নতি ও ক্যারিয়ারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। শিক্ষা সম্পূর্ণ না করে বিয়ে করলে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা হারানোর সম্ভাবনা থাকে এবং নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
তবে প্রেমের পথ বেছে নেওয়া একেবারেই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই তরুণীর সিদ্ধান্ত সমাজের নিয়ম-নীতি ও ব্যক্তিগত ইচ্ছার সংঘাতকে সামনে নিয়ে এসেছে। আপনি কি মনে করেন, বোর্ড পরীক্ষার পরিবর্তে ভালোবাসাকে বেছে নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত? মন্তব্য করে জানান!