নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের বাসিন্দা নিকোল চিট্টি। একদিন রাতে এক অদ্ভুত শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। আর জেগে উঠে তিনি ঠাহর করেন যে, ওই শব্দটা আসছে তাঁর বাথরুম থেকেই। উঠে বিষয়টি দেখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সাবধানতার বশবর্তী হয়ে একটি হকি স্টিক হাতে নিয়ে খুলে দেন শৌচাগারের দরজা। অবাক হয়ে দেখেন যে, কভার করা কমোড থেকে সেই শব্দ আসছে।
advertisement
এরপর সমস্ত সাহস এককাট্টা করে কোনওক্রমে টয়লেট সিট খোলেন নিকোল। দেখেন যে, একটি ইঁদুর। তার কারণেই এই শব্দের উপদ্রব। ভয় পেলেও নিকোল বুঝেছিলেন যে, ওই ইঁদুরকে তাঁকে তাড়াতেই হবে।
ইয়াহু নিউজ-এর কাছে নিকোল জানিয়েছেন যে, আলো জ্বালিয়ে শৌচাগারের দরজার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন এবং অপেক্ষা করেছিলেন। আবার কানে আসে ছপছপ শব্দ। টয়লেটের ঢাকনা বন্ধ থাকায় অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এরপরে তিনি আরও বলে চলেন যে, কোনওরকমে টয়লেট সিটের ঢাকনা খুলে দেখা যায় একটি ইঁদুর। নিকোল এরপর বুঝতে পারেন যে, টয়লেট থেকে ইঁদুরটাকে বার করতে হবে। সেই উপায়ই খুঁজতে থাকেন। সাহস জুটিয়ে তিনি হকি স্টিকটি কমোডে রাখেন। এরপর অবাক হয়ে দেখেন যে, ইঁদুরটিতে তাতে আটকে গিয়েছে।
কিন্তু নিকোলের মনে প্রশ্ন জাগে যে, ইঁদুরটা কমোডে গেল কী করে? প্রথমে ভেবেছিলেন তাঁর পোষ্য বিড়ালই ইঁদুরটিকে ধরে এনেছে। কিন্তু পরে অনুভব করেন যে, বিড়াল তো আর কমোডের ঢাকনা খুলে ইঁদুরটিকে ফেলে দিয়ে আবার বন্ধ করতে পারবেন না। ফলে ইঁদুরটি সেখানে কীভাবে গেল, সেটা নিয়েই ধন্দে নিকোল! তবে ঘটনা যা-ই হোক না কেন, শৌচাগার ব্যবহার করার জন্য আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে বেশ কিছু সময় লেগে গিয়েছিল নিকোলের; এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।