মেয়েরা ছোট পোশাক পরে রাস্তাঘাটে বেরোলে পশ্চিমি দেশের লোকজনও ঘুরে ঘুরে তাকায়। সম্প্রতি এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে এক ব্রিটিশ মহিলার। তিনি জানিয়েছেন, একবার গরমকালে তিনি হাফপ্যান্ট পরে বেরিয়েছিলেন। রাস্তার বেশিরভাগ পুরুষই হাঁ করে তাকিয়েছিল।
আরও পড়ুন– এই ৬ গাছ ভুলেও নিজের বাগানে লাগাবেন না, সাপ টেনে আনতে এদের জুড়ি মেলা ভার!
advertisement
এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হন ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার হেইলি ম্যাডিগান। পুরুষদের আচরণে তিনি রীতিমতো হতাশ। হেইলি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন করেছেন, শর্টসে কী আছে? শর্টস পরলে পুরুষরা এরকম করে তাকিয়ে থাকে কেন?
ব্রিটেনের মতো পশ্চিমা সংস্কৃতির দেশে শর্টস খুব সাধারণ পোশাক। রাস্তাঘাটে অনেকেই পরেন। কিন্তু তাঁদেরও কি একই রকম অভিজ্ঞতা হয়? হেইলি বলছেন, হয়। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছেন, তারপর থেকে গরমকালে আর শর্টস পরে বাইরে বেরোই না। পুরুষদের প্রতি একরাশ ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছেন তিনি।
হেইলি বলছেন, শর্টস পরে বেরোলে পুরুষরা শুধু তাকিয়ে থাকে তাই নয়, ভুরু কুঁচকে তাকায়। যেন আজব কিছু। কেউ কেউ তো আবার শিসও দেয়। যেন সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। তবে হেইলি শর্টস পরা ছেড়ে দেননি। জিমে ওয়ার্কআউটের সময় তিনি এখনও শর্টস পরেন। কিন্তু শর্টস পরে রাস্তাঘাটে বেরোনো একপ্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অত পুরুষের দৃষ্টি তাঁর অসহ্য লাগে।
ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার হেইলি তাঁর ওয়ার্কআউটের ছবি নিয়মিত পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। নারী-পুরুষের সমানাধিকারের পক্ষে তিনি। তবে হেইলি মনে করেন, নিরাপদে থাকতে হলে মহিলাদের আলাদা থাকতে হবে। কেন? হেইলি বলছেন, এই পরিবেশে কোনও মহিলা নিরাপদ বোধ করতে পারে না। শুধু তাই নয়, নারীবাদী হলেও হেইলি মনে করেন, নারীরা পুরুষের সমান নয়, কোনওদিন ছিলও না। তাঁর স্পষ্ট কথা, পুরুষদের দুর্বল করার জন্য নারীবাদ নয়, বরং মহিলাদের ভাল রাখতেই নারীবাদের প্রয়োজন।