ঘটনাটি কানাডার রিচমন্ডের বলে জানা গিয়েছে । মহিলার বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁর স্বামী সেখানে একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মাসাজ পার্লারে যেতে অভ্যস্ত ছিলেন। সেখানে ক্রমাগত যেতে যেতে এক সময় হঠাৎই তিনি যৌন রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগ নির্ণয়ের পরেই ওই মহিলা জানতে পেরেছিলেন যে তাঁর স্বামী শুধুমাত্র মাসাজ করার জন্য পার্লারে যেতেন না। ভাগ্যক্রমে, মহিলা নিজে এই মারাত্মক রোগের কবল থেকে বেঁচে যান। কিন্তু বাস্তব ঘটনা বেরিয়ে আসার পর তিনি তাঁর স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
advertisement
কানাডার রিচমন্ড নিউজে এই ঘটনার তথ্য দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলা। তিনি জানান, স্বামীকে এই রোগের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি নির্লজ্জভাবে তা মেনে নেন। এছাড়াও, বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানার পরেও তাঁর স্বামী ওই পার্লারে যাওয়ার বিষয়টি আরও প্রকাশ্য ভাবে মেনে নিয়েছেন। কিন্তু স্বামীর সামনে ডিভোর্সের বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা করার আগে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন ওই মহিলা। এর জন্য ওই মহিলা স্বামীর ছবি তুলে মাসাজ পার্লারে গিয়ে বাস্তব ঘটনা খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন-দুর্গন্ধ পেয়েও বেঁচে ওঠার আশায় দম্পতি দু’মাস আটকে রেখেছিলেন মেয়ের মৃতদেহ !
সেখানে কর্মরত অনেক মহিলাকর্মী ওই মহিলাকে নিশ্চিত করেছেন যে তাঁর স্বামী পার্লারে আসতেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে ওই মাসাজ পার্লারে অভিযান চালানো হয়। তখন অনেক কর্মকর্তা জানান, এখানে এ ধরনের কোনও কাজ হয় না। এটি শুধুমাত্র মাসেজের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত। যদিও এর আগেও ২০২০ সালের মার্চ মাসে এই পার্লারটি সন্দেহের আওতায় আসে। তখন এই পার্লারের যৌনকর্মীদের শূন্যপদ প্রকাশ করে একটি ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়। এবার এই ঘটনার পর ফের বিতর্কের মুখে পড়েছে এই পার্লার।