সম্প্রতি পুণে পুলিশের তদন্তে এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, গুজরাতের এক ব্যবসায়ী পরকীয়ায় আসক্ত। এই কারণে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী তাঁকে প্রায়শই সন্দেহ করতেন (Extra Marital Affair)। স্ত্রীর সন্দেহ যে একেবারে সত্যি তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Viral News)।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী গুজরাতের বাসিন্দা। অন্য মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর। এ জন্য ওই ব্যবসায়ীকে সর্বক্ষণ সন্দেহ করতেন তাঁর স্ত্রী। শেষ পর্যন্ত পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীকে হাতে-নাতে ধরতে স্বামীর ব্যবহৃত গাড়িতে চুপিসারে জিপিএস ট্র্যাকার ইনস্টল করেন স্ত্রী। আর তাতেই বাজিমাৎ। একেবারে হাতে-নাতে ধরা পড়ে যান অভিযুক্ত ব্যবসায়ী।
পুণে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রায়ই কাজের অজুহাত দিয়ে ওই ব্যক্তি পেপাত্তা হয়ে যেতেন। এমনকী গত বছর নভেম্বরে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তাঁর স্ত্রীকে জানান ব্যবসার কাজে তাঁকে বেঙ্গালুরুতে যেতে হবে। তাতে সম্মতিও দেন তার স্ত্রী।
কিন্তু স্ত্রীর পেতে রাখা ফাঁদের বিষয়ে ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি ওই ব্যক্তি। গাড়িতে বসানো জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে লোকেশন চেক করে তাঁর স্ত্রী দেখেন বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা বললেও তাঁর স্বামী পুণেতে রয়েছে। কারণ স্বামীর ব্যবহৃত গাড়িতে আগেই চুপিচুপি জিপিএস ট্র্যাকার বসিয়ে দেন তার স্ত্রী। ইনস্টল করা ওই ট্র্যাকারেই উঠে আসে তাঁর স্বামীর গতিবিধি। ওই মহিলা লক্ষ্য করেন ওই ব্যবসায়ী পুণের একটি হোটেলে তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর আধার কার্ড ব্যবহার করে ওই হোটেলে রুম বুক করেছেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন-Healthy Lifestyle: যৌনজীবন হবে সুখে পরিপূর্ণ, মহিলাদের যা বিশেষ করে জেনে রাখা দরকার!
এরপরই অভিযুক্ত স্বামী ও তার বান্ধবীর বিরুদ্ধে পুণের হিঞ্জেওয়াড়ি থানায় অভিযোগ করেন ওই মহিলা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে উঠে আসে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাশাপাশি জিপিএসে ট্র্যাক করা ওই হোটেলটিতেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। এমনকী হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরই অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তাঁর বান্ধবী পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৪১৯ ধারায় প্রতারণার মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।