TRENDING:

হেলায় হারালেন ৯ কোটি টাকা! অ্যাম্বার নাগেটকে ডোরস্টপ হিসাবে ব্যবহার করতেন রোমানিয়ার বৃদ্ধা

Last Updated:

Elderly Woman’s Doorstop Was Valued At Over Rs 9 Crore: রোমানিয়ার একটি ছোট গ্রামে একাই থাকতেন এক বৃদ্ধা। ডোরস্টপ হিসাবে একটা পাথর ব্যবহার করতেন তিনি। অনেকটা বাদামি রঙের। যার ওজন ৩.৫ কিলোগ্রাম (৭.৭ পাউন্ড)। সেটা আসলে অ্যাম্বার নাগেট। আনুমানিক মূল্য ১ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ কোটি টাকা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বুখারেস্ট: চোখের সামনে ৯ কোটি টাকা পড়ে ছিল। কিন্তু ‘দেখতে’ পাননি বৃদ্ধা। আজীবন দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করেই কাটিয়ে দিলেন। মৃত্যুর পর সামনে এল আসল সত্য। এই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে রোমানিয়ায়। ব্যাপারটা কী?
The amber was sent to the Museum of History in Poland. (Photo Credits: Instagram)
The amber was sent to the Museum of History in Poland. (Photo Credits: Instagram)
advertisement

রোমানিয়ার একটি ছোট গ্রামে একাই থাকতেন এক বৃদ্ধা। ডোরস্টপ হিসাবে একটা পাথর ব্যবহার করতেন তিনি। অনেকটা বাদামি রঙের। যার ওজন ৩.৫ কিলোগ্রাম (৭.৭ পাউন্ড)। সেটা আসলে অ্যাম্বার নাগেট। আনুমানিক মূল্য ১ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ কোটি টাকা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এল পাইস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আঞ্চলিক যাদুঘরের ড্যানিয়েল কস্তাচে প্রথম পরীক্ষা করে দেখেন অ্যাম্বার নাগেটটি। এটাই এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া সবচেয়ে বৃহত্তম নাগেট। বর্তমানে এটি পাঠানো হয় পোল্যান্ডের ক্রকোতে। সেখানে বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, নাগেটটি ৭০ মিলিয়ন বছরের পুরনো।

advertisement

আরও পড়ুন– ‘এমন একটা শব্দ বলুন যা আমরা লিখি, কিন্তু কেউ পড়ে না’, তরুণীর ধাঁধায় কুপোকাত নেটিজেনরা

নদীর ধার থেকে অ্যাম্বার নাগেটটি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন বৃদ্ধা। তারপর থেকে ডোরস্টপ হিসাবে ব্যবহার করতেন। ১৯৯১ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। পাথরটি অন্যরকমের দেখতে হওয়ায় বৃদ্ধার আত্মীয়দের সন্দেহ হয়েছিল। তাঁরা যত্ন করে রেখে দিন। সম্প্রতি রোমানিয়ান সরকারের কাছে নাগেটটি বিক্রি করার কথা ভেবেছিলেন বৃদ্ধার আত্মীয়। তখনই আসল ঘটনা সামনে আসে।

advertisement

ড্যানিয়েল কস্তাচে বলেন, “বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে তো বটেই, নৃতাত্ত্বিক দিক থেকেও এই আবিষ্কারেরে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।’’ মহিলারা আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বাড়িতে একবার চোর ঢুকেছিল। তারাও পাথরটাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। কয়েক গাছা সোনার গয়না নিয়েই চম্পট দেয়।

আরও পড়ুন– মারধরের সময় কী বলেছিলেন রেণুকাস্বামী? যা শুনে আরও রেগে যান দর্শন, প্রত্যক্ষদর্শীদের হাজির করছে পুলিশ

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বের মধ্যে রোমানিয়াতেই সবচেয়ে বেশি অ্যাম্বার পাওয়া যায়। বিশেষ করে বুজাউ কাউন্টিতে। ভূতাত্ত্বিক অস্কার হেলম এর নাম দিয়েছেন, ‘রুমানিত’ বা ‘বুজাউ অ্যাম্বার’। এই অঞ্চল থেকে এর আগেও বহু মূল্যবান অ্যাম্বার পাওয়া গিয়েছে। একসময় এখানে স্ট্র্যাম্বা অ্যাম্বারের খনি ছিল। বিপুল দামে বিক্রি হত। পরবর্তীকালে দাম পড়ে যায়। রোমানিয়ার সরকারও খনি বন্ধ করে দেয়।

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
হেলায় হারালেন ৯ কোটি টাকা! অ্যাম্বার নাগেটকে ডোরস্টপ হিসাবে ব্যবহার করতেন রোমানিয়ার বৃদ্ধা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল