এই ফুলের সবথেকে প্রচলিত নাম হুকার্স লিপস। এছাড়াও এদের একাধিক নাম রয়েছে। এদের পরাগায়নের জন্য হামিং বার্ড বা অনান্য মধু আহারি পাখি ও প্রজাপতির সাহায্যের প্রয়োজন। সেই মধু আহরণকারীদের আকর্ষণ করার জন্যই সম্ভবত প্রকৃতি তাদের এমন সাজে সাজিয়ে দিয়েছে। দেখে মনে হবে চুমুর আবেদন জানাচ্ছে ফুলটি। একবার দেখলে চোখ ফেরানো যাবে না এই ফুলের সৌন্দর্য থেকে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, পানামা এবং ইকুয়েডরে এ ধরনের ফুল সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এই ফুলের আসল নাম সাইকোট্রিকা এলাটা অনেকে এই ফুলটিকে হুকারস লিপস, দ্যা হট লিপস বলেও ডেকে থাকেন।
advertisement
শুধু এখানেই শেষ নয়ষ। এই ফুলটির আরও একটি চমক রয়েছে। লাল ঠোটের মত অংশটি কিন্তু ফুলেপ প্রধান অংশ নয়। কারণ প্রথমে বের হয় পুষ্পমঞ্জরিটি। এর দুটি অংশ দেখতে টকটকে লাল। এটিকেই ঠোঁটের মতো দেখা যায়। এরপর ঠোঁটাকৃতির ফুলটির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে আসল ফুলটি। সেটিকে আর লাল টকটকে লিপস্টিক মাখানো ঠোঁটের মতো দেখতে লাগে না। ওই অংশটি সাদা রঙের। তবে সেটি দেখতে একেবারে উল্টো রকম। গোখরো সাপের মুখের ভেতর থেকে বের হওয়া জিহ্বার মতো দেখা যায় সেই অংশটিকে। তুলনামূলক ছোট আকৃতির ওই সাদা ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই ‘লিপস্টিক পরা ঠোঁট’গুলো ঝরে যায়।
আরও পড়ুনঃ Viral News: হানিমুনে শাশুড়ির সঙ্গে মিলন জামাইয়ের, বউ জানার পর যা ঘটেছিল
আরও পড়ুনঃ Devar Bhabhi love: দেওর-বৌদির প্রেম, দাদা বাড়ি না থাকলেই হত ঘনিষ্ঠ, তারপর পর যা হল স্তম্ভিত সকলেই
এই ফুল শুধু দেখতে সুন্দর এমনটা নয়। এর কার্যকারিতাও অনেক। প্রচুর রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় হুকার্স লিপস। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে এর বেশ কদর রয়েছে ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ হিসেবে। স্থানীয় লোকজন হুকার্স লিপসের পাতা ও বাকল চামড়ার ফুসকুড়ি, কফ, কানের ব্যথা ইত্যাদি উপশমে প্রতিষেধক হিসেবে কাজে লাগান। এ ছাড়া পানামার অরণ্যে বাস করা কুনা ও নগাবেগুল আদিবাসীরা একে হাঁপানি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করেন। অন্যদিকে ভ্যালেন্টাইনস ডের উপহার হিসেবেও এর কদর ব্যাপক। তাহলে কোনও দিন যদি দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার অরণ্যে ঘুরতে যান চুমু ফুল থুরি হুকার্স লিপস দেখতে ভুলবেন না কিন্তু।