ফুলশয্যার রাতে অনেক ইচ্ছে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন ওই ব্যক্তি। তার ইচ্ছে ডানাগুলি যখনই পাখনা মেলতে শুরু করছিল তখন নজরে আসে একটি বিষয়। যা তাকে পুরো নাড়িয়ে দেয়। স্ত্রীর পেটে ৭-৮টি সেলাইয়ের চিহ্ন দেখতে পান ওই ব্যক্তি। এমনটা দেখে অবাক হয়ে যান ওই ব্যক্তি। কী কারণে ওই সেলাই তা জানতে চাইলে স্ত্রী ঠিকঠাক জবাব দিতে পারেননি। তাই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। তদন্তে নেমে যেটা জানা যায় তাতে ওই ব্যক্তির পায়ের তলায় মাটি সরে যায়। সামনে আসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
advertisement
স্ত্রীর পেটে সেলাইয়ের রহস্য উন্মোচন করে ওই ব্যক্তি জানান, বিয়ের আগে তার প্রেমিকের থেকেই সব সুখ পেয়েছিলেন তার স্ত্রী। এমনকী গর্ভবতীও হয়ে পড়েন। বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর বিয়ের প্রায় ৩ মাস আগে তার স্ত্রীর গর্ভপাত করানো হয়। ওই ব্যক্তি জানান, বিষয়টি মেয়ের বাড়ির লোকজন লুকিয়ে বিয়ে দেয়। নির্যাতিতার স্বামী তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে হাসপাতাল থেকে তার স্ত্রীর যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। জানা গেছে, বিয়ের ৩ মাস আগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই মহিলার গর্ভপাত হয়।
এমন তথ্য সামনে আসার পর স্ত্রীকে তার বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। এখানেই ঝামেলার শেষ হয়নি ওই ব্যক্তির। স্বামীর বিরুদ্ধেই পাল্টা মামলা দায়ের করা মেয়ের পরিবারের তরফ থেকে। ভরণপোষণ দাবি করা হয়। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, লোক লাগিয়ে তাকে মারধরও করা হয়। যেই কারণে সে আরও বেশি ভয় পায়। পাল্টা আইনের দ্বারস্থ হয়েছে ওই ব্যক্তিও। বর্তমানে বিষয়টি আইনি জটিলতায় আটকে আছে। সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।