সিমলা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অনেক ঐতিহাসিক ভবনের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক সেখানে যান। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং খাবার সকলের কাছেই খুবই জনপ্রিয়। তবে এর পাশাপাশি সেখানকার আরেকটি বিশেষত্ব রয়েছে। সেটি হল রতনলাল। কে এই রতনলাল? আসুন তাঁর সম্পর্কে আরও জানা যাক।
আরও পড়ুন: বুক ধড়ফড়-ঝিমুনি-ওজন বৃদ্ধি! এসব উপসর্গ ভালভিউলার হৃদরোগের ইঙ্গিত, অবশ্যই হার্টের পরীক্ষা করান
advertisement
সিমলার পর্যটন স্থানের পাশাপাশি রতনলাল নিজেও একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। তাঁকে এখানকার রিজ গ্রাউন্ডে প্রতিদিন অর্থাৎ বছরের ৩৬৫ দিনই দেখা যায়। তাঁকে প্রতিদিন এখানে আখরোট গাছের নিচে বসে থাকতে দেখা যাবে। শুধু এক-দুই বছর নয়, তিনি ৪৭ বছর ধরে এখানে বসে আছেন- সেটা শীত হোক, গ্রীষ্ম হোক বা বৃষ্টি।
আরও পড়ুন: আপনার জিভের রং কী? আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে জানান দেয় জিভ, একটু খেয়াল রাখুন
৪৭ বছর এক জায়গার নিচে ছাদ ছাড়া কাটিয়ে দেওয়া সবার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু রতনলাল সকাল ১১টায় এখানে পৌঁছে তাঁর ঝুড়ি এবং বাক্স গুছিয়ে বসে। ঝড়-তুফান হোক, তিনি রাত ৯টা পর্যন্ত এখানেই থাকেন। তুষারপাত হোক বা শিলাবৃষ্টি, রতনলালকে কেউ নিরুৎসাহিত করতে পারেনি। স্থানীয় লোকজন এবং এখান দিয়ে যাওয়া দেশি-বিদেশি পর্যটকরা অবশ্যই তাঁর ছোলা খান।
রতনলাল ৪৭ বছর এই গাছের নিচে বসে জীবন কাটিয়েছেন। প্রায় অর্ধ শতাব্দীর এই যাত্রায় তিনি দেখেছেন সিমলার প্রতিটি পর্ব। সিমলার উন্নতি এবং অবনতি দেখেছেন। এখনও রতনলাল ছোলা বিক্রি করেন। নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি তাঁর কাজ করে চলেছে। দীর্ঘ এই কর্মজীবনের সফরে তিনি একদিনের জন্যও ছুটিতে যাননি।
এ কারণেই সিমলায় রতনলাল ওয়েটিং ট্রি নামে বিখ্যাত হয়েছেন। তিনি ১৯৭৬ সাল থেকে এখানে বসতে শুরু করেন এবং এখনও একই জায়গায় আছেন। রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যশবন্ত সিং পারমার থেকে শুরু করে আজকের সুখু সরকার সব কিছুরই সাক্ষী তিনি। সিমলার অধিবাসী এবং এখানে আসা পর্যটক- সবাই তাঁকে খুব ভাল করে চেনেন।
১৯৭৬ সালের মার্চ থেকে এটাই রতনলালের জীবিকা। এভাবেই তিনি নিজের ও তাঁর পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি বলেন, “আমি কখনও ধার করিনি। গরম ছোলা বিক্রি করেই ভাল আয় করা যায়। খুব বেশি উপার্জন না করলেও, আমার এতেই চলে যায়। পরিবার কখনও কোনও সমস্যায় পড়েনি, তাই যতদিন পারি এখানে বসে ছোলা বিক্রি করে যাব”। রতনলাল আরও বলেন, “আমার ছোলা খুব গরম থাকে, তাই মানুষ এটা পছন্দ করেন”।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
