জানা গিয়েছে, ক্যানসারে আক্রান্ত স্বামীর মৃত্যুর ন'মাস পর গর্ভবতী হয়েছেন এক স্ত্রী। শুধুই কী গর্ভবতী, ইতিমধ্যেই একটি ফুটফুটে শিশু পুত্রের জন্ম দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী লরেন। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে বিবাহ হয় ক্রিস ও লরেনের। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন বেশ ভালোই কাটছিল তাঁদের। তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরেনি বিন্দু মাত্র। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে ঘনিয়ে এসেছিল বিচ্ছেদ।
advertisement
বিবাহের কয়েক বছর পর ২০১৩ সালে ক্রিসের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান ওই দম্পতি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকরা ওই দম্পতিকে জানিয়ে দেন যে ক্রিসের হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। তখন থেকেই মারণ ক্যানসার ব্যাধিতে আক্রান্ত স্বামীর অবধারিত মৃত্যুর কথা জানতে পেরে তাঁর স্মৃতি কীভাবে ধরে রাখা যায় তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন লরেন। একে তো স্বামীর সঙ্গে মধুর প্রেমের স্মৃতি ধরে রাখা, অন্য দিকে মা হওয়ার প্রবল বাসনা, এই দু'য়ের ভাবনায় নিজেকে সবসময় আচ্ছন্ন রাখতেন লরেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালে ক্যানসার আক্রান্ত স্বামী ক্রিসের শুক্রাণু সংরক্ষণ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী লরেন। অবশেষে ২০২০ সালে মৃত্যু হয় ক্রিসের।
আরও পড়ুন-আফগানিস্তানের একমাত্র অ্যাডাল্ট ফিল্মস্টার! ইয়াসমিনা এবার মুখ খুললেন তালিবানদের নিয়ে
এখানেই অবশ্য এই ঘটনার শেষ নয়। জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভধারণ করার সিদ্ধান্ত নেন লরেন। ফলে চিকিৎসকদের কথা মতো সংরক্ষণ করে রাখা ক্রিসের শুক্রাণু নিজের শরীরে প্রবেশ করান লরেন। শেষ পর্যন্ত মা হওয়ার স্বপ্ন বাস্তব হওয়ার পাশাপাশি স্বামীর স্মৃতি ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের তত্বাবধানে সম্প্রতি মা হয়েছেন লরেন। গভীর প্রেমের এই কাহিনী প্রকাশ্যে আসার পর থেকে স্বভাবতই তোলপাড় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া!