পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের ভিমদার বাসিন্দা মেহরাম জাট। পাত্র মেহরামের সঙ্গে দিন কুড়ি আগে বিয়ে হয় প্রতিবেশী রাজ্য গুজরাতের আহমেদাবাদের বাসিন্দা পাত্রী মমতার। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু বিয়ের দিন কুড়ি পর হঠাৎই কাউকে না জানিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেপাত্তা হন নববধূ মমতা। শুধু কী বেপাত্তা, জানা গিয়েছে, স্বামীর ঘর থেকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও সোনা-রুপোর গহনা নিয়ে চম্পট দেন ওই নববধূ। ঘটনায় প্রথমে হতবাক হলেও কয়েকদিন পর স্বামী মেহরাম জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী মমতা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। মূলত টাকা, ও সোনা-রুপো হাতিয়ে নেওয়াই লক্ষ্য ছিল এই বিয়ের। এ জন্যই মমতা নামে ওই যুবতী পাত্রী সেজে মেহরামের সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন।
advertisement
এরপর স্ত্রীকে ধরতে স্থানীয় পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন মেহরাম। অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত মমতা ও তাঁর দলের বাকি সদস্যদের কোনও হদিশ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেহরাম তাঁর বিয়ের জন্য ভিমরা এলাকার জগারাম নামে এক ব্যক্তিকে ঘটক হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। বিয়ের পর্ব সাঙ্গ করতে জগারাম পাত্র পক্ষের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকাও নিয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন-Viral News: রাস্তার ধারে জঞ্জালের মধ্যে ফেলা ছিল মৃতদেহ, প্লাস্টিক খুলে এ কী দেখল পুলিশ!
ঘটনার তদন্তে ওই ঘটককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাজস্থানের বারমের এলাকায় তেল ও গ্যাসের খনি থাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই ওই এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মমতা পাত্রী সেজে আগে ন'বার বিয়ে করেছেন। এটি ছিল তাঁর দশম বিয়ে। এমনকী তার একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কোনও হদিশ মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।