আসলে কার মনে যে কী আছে কেউ জানে না। আলাপ থাকলে সেই মানুষটা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায় বটে। কিন্তু মনের হদিশ পাওয়া যায় না। ফলে চমকে উঠতে হয়। মার্সেলিন আর্থার চ্যাক্সের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
advertisement
ধনকুবেররা মৃত্যুর আগে উইল করে যান। বিশাল সম্পত্তি নিয়ে পরে যাতে ঝামেলা না হয়। কাকে, কতটা দেওয়া হবে, তা উইলে লিখে যান তাঁরা। মার্সেলিনও তাই করেছেন। এত পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু গোল বাঁধল উইল খোলার পর।
ফরাসি কোটিপতির উইল শুনে অনেকেরই মাথায় হাত। এমনটাও যে হতে পারে বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁরা। এদিকে গ্রামের লোক খুব খুশি। তাঁরা দু’হাত তুলে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন মার্সেলিনকে।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে টরেটাসের মেয়রকে তাঁর উইল দিয়ে গিয়েছিলেন মার্সেলিন আর্থার চ্যাক্স। বলে গিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পরই যেন এই উইল খোলা হয়। তার আগে নয়। সেই মতো মার্সেলিনের মৃত্যুর পর তাঁর উইল খোলেন টরেটাসের মেয়র ক্যামিজ বোজ।
আরও পড়ুন– ট্রেনের AC কোচে উঠলেন যাত্রী, টিটিই টিকিট চাইতেই বললেন, ‘আমার ভাইপো…’, গোটা কামরা চুপ!
সেই সময় গ্রামের প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন এলাকার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিও। তাঁদের সামনেই মার্সেলিনের উইল পড়ে শোনান মেয়র ক্যামিজ বোজ। আর তা শুনেই সবার চোখ কপালে। কারণ মার্সেলিন আর্থার চ্যাক্স তাঁর সমস্ত সম্পত্তি গ্রামের নামে লিখে দিয়েছেন। সঙ্গে দিয়েছেন, একটা কঠোর শর্ত। যা মানতেই হবে।
মার্সেলিন তাঁর উইলে লিখে গিয়েছেন, তিনি তাঁর সমস্ত সম্পত্তি গ্রামকে দান করছেন। তবে এই সম্পত্তি শুধুমাত্র সামাজিক কাজেই ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোনও ভাবে নয়। ব্যবসায়িক কাজে লাগানো যাবে না। কোনও লাভও নেওয়া যাবে না। তাঁর সম্পত্তির আর কোনও উত্তরাধিকার নেই।
গ্রামের বাসিন্দারা এই খবরে উচ্ছ্বসিত। মার্সেলিনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে তাঁর এমন কাজে মোটেই অবাক নন গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলছেন, মার্সেলিন মাটির মানুষ ছিলেন। খুব দয়ালু। সবাইকে সাহায্য করতেন। গরীব-দুঃস্থরা কখনও তাঁর কাছ থেকে খালি হাতে ফেরেননি। তাই মার্সেলিনের পক্ষে এমন কাজ অসম্ভব নয়।