প্রসঙ্গত বছর খানেক আগে ৩১ বছরের সাজিদ জেব খানের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় ৪৭ বছরের মাইন্ডির৷ ক্রমশ ফেসবুকীয় আলাপ পৌঁছয় প্রেমে৷ চলতে থাকে অনলাইন চ্যাটের পর চ্যাট এবং লম্বা ভিডিও কল৷ কয়েক মাস পর সাজিদকে প্রেমের প্রস্তাব দেন মাইন্ডি৷ দুই পরিবারের সম্মতি মেলার পর মাইন্ডি আমেরিকা থেকে উড়ে যান পাকিস্তানে৷ প্রেমে বিয়ের শিলমোহর দিতে৷
advertisement
৯০ দিনের ভিসা নিয়ে চলতি মাসের গোড়ায় পাকিস্তানে পৌঁছন মাইন্ডি৷ ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে ফুল হাতে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন সাজিদ৷ সম্প্রতি ধর্মান্তরিত হওয়ার পর মাইন্ডির নতুন নাম জুলেখা৷ ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার দিরে সাজিদের পারিবারিক বাড়িতে পৌঁছেছেন মাইন্ডি৷ স্থানীয় বাসিন্দারা সাদর অভ্যর্থনা জানান প্রেমিক যুগলকে৷ প্রচলিত প্রাচীন রীতিনীতি পালন করে মাইন্ডি ওরফে জুলেখাকে নিকাহ করেছেন সাজিদ৷
পাকিস্তান এবং এর মানুষকে দেখে অভিভূত মাইন্ডি৷ বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান খুব সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ দেশ৷’’ আমেরিকায় তাঁর বাবা, দিদি এবং ছোট ভাইও খুশি এই বিয়েতে, জানিয়েছেন বিদেশিনী পাক বধূ৷ উচ্ছ্বসিত হয়ে তাঁরা বাড়িয়ে দিয়েছেন সমর্থন ও ভরসার হাত৷ স্বামী সাজিদকে নিয়েও গর্বিত মাইন্ডি৷ তাঁর বিনয়ী ভাবমূর্তি তাঁকে মুগ্ধ করেছে৷
সাজিদের কথায়, ‘‘জুলেখা স্বাধীন নারী৷ ধর্মান্তকরণ, বিয়ে-সহ নিজের সব সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছে৷’’ জুলেখা বলেছেন, ‘‘আমি সকলকে বলব পাকিস্তানে বেড়াতে এসে এখান সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, উষ্ণ আতিথেয়তা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে৷’’