সম্প্রতি একটি সাবানের ভিডিও ট্যুইট করেছেন মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারপার্সন আনন্দ মাহিন্দ্রা। পুরনো কোম্পানি। সেই ভিডিও দেখে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে অনেকেরই। নস্টালজিয়ায় ভাসছেন নেটিজেনরা।
advertisement
মাইসোর স্যান্ডাল সোপ। হ্যাঁ, একসময় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল এই সাবান। এখনও বিক্রি হয়। তবে আগের মতো সেই জনপ্রিয়তা আর নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সাবানের ফ্যাক্টরির একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। সাবান তৈরি থেকে শুরু করে তা প্যাকেটজাত করার প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে ভিডিওতে।
ভিডিও শেয়ার করে আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখেছেন, “ক্লিপটা দেখে অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে গেল। এই ব্র্যান্ড এখনও টিকে আছে এবং উন্নতি করছে দেখে খুব ভাল লাগছে। ফের এই সাবান কেনার এবং পুরনো ঐতিহ্যের ঘ্রাণ নেওয়ার কথা ভাবছি।”
মাইসোর স্যান্ডাল সোপ তৈরি করে কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্টস লিমিটেড। লাল আর সবুজ রঙের মোড়ক। আকৃতিতে ডিমের মতো। একটা রাজকীয় ব্যাপার আছে। তবে সুগন্ধের কারণেই এর জনপ্রিয়তা। “১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ চন্দন তেল-সহ একমাত্র সাবান”, এই ট্যাগ লাইন একসময় মুখে মুখে ফিরত। ২০০৬ সালে এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এমএস ধোনি।
নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতেই সবচেয়ে বেশি মাইসোর স্যান্ডেল সোপ বিক্রি হয়। এর সবচেয়ে বড় বাজার হল অন্ধ্রপ্রদেশ। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু, তৃতীয় স্থানে কর্ণাটক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিক্রির ৮১ শতাংশই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি থেকে আসে। বাজারে নয়া লোগো এবং ট্যাগলাইনের সঙ্গে নতুন মোড়কে মাইসোর স্যান্ডাল সোপ আনার পরিকল্পনা করেছে কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্টস লিমিটেড। গোটা ভারতেই নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। এর জন্য ২০২৫ সালে দেশ জুড়ে নতুন ৪৮০ ডিস্ট্রিবিউটর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে ১,৫০০ কোটি টাকার টার্নওভার হয়েছে কোম্পানির। গত ৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। সাবানের পাশাপাশি, কোম্পানি ক্লিনার, ধুপকাঠি এবং অন্যান্য পণ্যও তৈরি করে। তবে মাইসোর স্যান্ডল সোপ এখনও গ্রাহকদের সবচেয়ে প্রিয় পণ্য।