বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ আরও একবার হাওয়ালায় টাকা পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। পুলিশ জানিয়েছে, কাঁধে বিশালাকার ব্যাগ নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের আট নম্বর প্ল্যাটফর্ম খুঁজছিল ওই ব্যক্তি। আর পুলিশ দেখেই মুখ লুকোতে থাকে সে। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জানিয়েছে যে, ৪৭ লক্ষ টাকা নিয়ে ড্রাই ফ্রুটস কিনতে যাচ্ছে। আপাতত তাকে আটক করেছে জিআরপি। সেই সঙ্গে সমস্ত দফতরে খবর পাঠানো হয়েছে।
advertisement
পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে যে, সে বারাণসীর চক এলাকার বাসিন্দা। ড্রাই ফ্রুটস কেনার জন্য বারাণসী থেকে কলকাতা যাচ্ছিল সে। কড়া জিজ্ঞাসাবাদেও অবশ্য উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার সঠিক প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ওই ব্যবসায়ী। ফলে জিআরপি-র সন্দেহ, উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা আসলে হাওয়ালার টাকা। তাই সেটা বাজেয়াপ্ত করে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে জিআরপি।
জিআরপি স্টেশন ইন-চার্জ কুঁওয়ার প্রতাপ সিং বলেন যে, নিজের দলবল নিয়ে ইনস্পেক্টর ইন-চার্জ জিআরপি হেমন্ত কুমার সিং আট নম্বর প্ল্যাটফর্মে খানাতল্লাশি চালাচ্ছিলেন। তল্লাশি চলাকালীনই ফুটওভার ব্রিজের তলায় এক সন্দেহজনক ব্যক্তিকে দেখা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে যে, তার নাম শিবকুমার ভার্মা। সে গোলা গলি চকের বাসিন্দা। শিবকুমারের ঢাউস ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪৭ লক্ষ নগদ টাকা। প্রশ্নের মুখে পড়ে সে জানিয়েছে যে, ড্রাই ফ্রুটস কেনার জন্য হাওড়া যাচ্ছে সে। কিন্তু এই সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠানো হয়েছে আয়কর বিভাগকে।
কুঁওয়ার প্রতাপ সিং আরও জানান যে, “টাকার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি অভিযুক্ত। শুধু জানিয়েছে যে, সে ড্রাই ফ্রুটস কিনতে যাচ্ছে। কিন্তু মনে করা হচ্ছে যে, এটা গয়না-হাওয়ালার টাকা। যা হাওড়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আমরা তদন্ত করে দেখছি। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে যে, একটা ব্যাগ ছিল আর তার ভিতরেই প্রচুর টাকা ছিল। আর শিবকুমার জানিয়েছে যে, সে দুন এক্সপ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু কোন ট্রেনে তার হাওড়া যাওয়ার কথা ছিল, সেটা বোঝার চেষ্টা চলছে। রেলওয়ের এসপি আপাতত জিআরপি টিমের এই তৎপরতার জন্য ৫০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।”