আরও পড়ুন- রাশিফল ফেব্রুয়ারি ২০২৪; দেখে নিন এই মাস নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ
অথচ এই সুন্দর জীবনের প্রতিই কখনও কখনও যেন মানুষের মোহ ভেঙে যায়। আর তখন তাঁদের বাঁচার ইচ্ছাটাও চলে যায়। ফলে তাঁদের কাছে জীবনটা যেন মূল্যহীন হয়ে যায়। কিন্তু কেন এমনটা হয়, সেই উত্তর পাওয়া মুশকিল! কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বালিয়া শহরের কোতওয়ালি মহাবীর ঘাটের বাসিন্দা শুভমের ক্ষেত্রে কেন এমনটা ঘটল, সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
শুভম আসলে রৌনিয়ার পুরসভায় পাম্প অপারেটর হিসেবে চুক্তিতে কাজ করতেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন তিনি। অথচ চাকরি খোওয়ানোর আশঙ্কায় নিজের জীবনটাই শেষ করে দিয়েছেন ওই তরুণ। বৃদ্ধ মা-বাবার সামনে যখন জ্বলজ্যান্ত তরতাজা সন্তানের প্রাণ চলে যায়, তখন তাঁদের উপর দিয়ে কী ঝড় বয়ে যায়, সেটা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না। বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবার জীবনের মূল অবলম্বনই ছিলেন শুভম, অথচ তিনিই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছিলেন শুভম। পুরসভায় কর্মসংস্থানের ঘাটতির জেরে কিছু সময় ধরে বেশ উদ্বিগ্নই ছিলেন তিনি। যার জেরে গুরুতর পদক্ষেপ করতেও দু’বার ভাবেননি তিনি। এইসব ঘটনার খারাপ প্রভাব সমাজের উপর পড়ছে। এমনকী, শুভমের আত্মহত্যার পিছনে অবশ্য আরও একটা কারণ রয়েছে। প্রায় সাত মাস ধরে পুরসভা থেকে বেতন পাননি তিনি।
এই ঘটনার পরেই ওই পুরসভার কাজকর্মের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন কোনও নোটিস কিংবা কারণ ছাড়াই কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে, কিংবা তাঁরা দিনের পর দিন ধরে বেতনই বা পাচ্ছেন না কেন?