এই খোদাইগুলি স্থানীয় গ্রামবাসী এবং কিছু পর্যটকরা বনের পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেছিলেন। পাহাড়ের গায়ে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি ও প্রতীক খোদাই করা আছে। এছাড়া কিছু অস্পষ্ট রেখাও দেখা যাচ্ছে, যেগুলি দেখতে প্রাচীন লিপির মতো। বহু প্রাচীন এই সৌধগুলি কালের নিয়মে অনেকাংশে ধ্বংস হয়ে গেলেও এগুলোকে অতীতের এক অসাধারণ যোগসূত্র হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। এগুলি সম্ভবত বহু শতবর্ষের পুরনো।
advertisement
শোপিয়ানের হির পোরার জঙ্গলের ভিতর হঠাৎই আবিষ্কার
এই খোদাইগুলি মুঘল রোড থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে শোপিয়ানের হীর পোরায় পাওয়া গেছে। নিউজ 18 -র রিপোর্টার ইরশাদ মালিক পায়ে হেঁটে এই জঙ্গলের মধ্যের জায়গাটিতে গিয়েছেন৷ তাঁর উদ্দেশ্য হঠাৎ করে আবিষ্কার হওয়া এই শতাব্দী প্রাচীন মানুষের কাছে পৌঁছ দেওয়া যায়৷
সেখানে তিনি সমাজকর্মী জাভেদ বেগের সঙ্গে দেখা করেন, যিনি বলেন, ‘বেরুয়ায় কাশ্মীরের মহা আচার্য অভিনব গুপ্তের এই গুহাটি বহু শতাব্দী ধরে প্রতিষ্ঠিত এবং এটি একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত। এই গুহার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। বলা হচ্ছে, নবম শতাব্দীর কাশ্মীরি দার্শনিক মহা আচার্য অভিনব গুপ্ত তাঁর ১২০০ অনুচর সহ বিরহের এই পবিত্র গুহায় পূজার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন এবং পরে আর ফিরে আসেননি।