ইউগ্লেনিড হল এককোষী ইউক্যারিওটের দল। তারা গাছ থেকে নিজেদের খাদ্য তৈরি করে এবং পশুদের মতোই তা খেয়ে থাকে। আসলে প্রায় এক বিলিয়ন বছর আগেই তারা সমুদ্রে বসবাসকারী ইউক্যারিওটদের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। আজ তাদের জীবাশ্ম খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর আগে কাশ্মীরে স্ত্রী-সন্তানকে বিক্রি স্বামীর! পালিয়ে বাংলায় ফিরল মা-ছেলে, তারপর যা ঘটল…
advertisement
বছরের পর বছর ধরে খোলসের মতো এই জীবাশ্মগুলিকে পোকামাকড়ের ডিম, ফার্ন স্পোর ইত্যাদি বলে মনে করা হয়েছিল। আসলে এই জীবাশ্মগুলি জীবন্ত প্রাণীর শ্রেণীবিভাগের সঙ্গে একেবারেই মেলে না। সেই কারণে বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছে Pseudoskizia Shells। বহু বিজ্ঞানীই এই জীবাশ্মের হদিশ পেয়েছেন। এগুলি প্রায় ৫০ কোটি বছর ধরে বিদ্যমান।
জার্মানির হেইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গ্রিসের হ্রদে ইউগ্লেনিডের পাতলা ডিম্বাকার জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন। আর এর বিশেষ বিষয় হল, এই প্রাণীরা চাপের সময়ে নিজেদের একটা বিশেষ খোলসের মধ্যে লুকিয়ে ফেলতে সক্ষম ছিল। কিন্তু এর ব্যাখ্যা না মেলার দরুন গবেষকরা পুরনো গবেষণার দিকে আলোকপাত করেন। এই গবেষণাটির কথা প্রকাশিত হয়েছিল রিভিউ অফ প্যালিওবোটানি অ্যান্ড প্যালিনোলজিতে।
এই গবেষণার সময়ে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। কিন্তু স্পষ্ট ভাবে কিছু বোঝা যায়নি। তবে গবেষকরা জীবাশ্মগুলি নিয়ে যখন আরও গবেষণা করেন, তখন জানা যায় যে, ওই প্রাণীগুলি পশুও নয়, কিংবা গাছও নয়। এমনকী তাদের আকৃতির সঙ্গে সামুদ্রিক মসেরও কোনও মিল নেই। এরপরেই বিজ্ঞানীরা এই ইউগ্লেনিডের ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন। আর এটা অন্যান্য বিজ্ঞানীদেরও পুরনো তথ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে। আর এর বিশেষ বিষয় হল, এই প্রাণীগুলি প্রতিটি বড় ধ্বংস থেকে বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়েছে।