আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু এই ঘটনা একেবারেই সত্যি। আজ আমরা এমন একটি দেশের কথা বলতে চলেছি যেখানকার সময় অন্য দেশের তুলনায় সাত বছর পিছিয়ে। মনে প্রশ্ন জাগছে তো সেটা কোন দেশ?
আরও পড়ুন- বলুন তো কোন মাছ জলে সাঁতার কাটে, আকাশে ওড়ে, আবার ডাঙায় চলাফেরা করে?
advertisement
বলা হয়, সময় দ্রুত চলে যায়। কিন্তু পৃথিবীতে একটা জায়গা আছে যেখানে সময় পুরো পৃথিবীর সময়ের থেকে পিছিয়ে। যেন এখানেই সময় থেমে গেছে। সেই দেশটি হল ইথিওপিয়া। অন্যান্য দেশের তুলনায় ৭ বছর পিছিয়ে সেই দেশ।
ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডারে ১২ নয়, ১৩ মাস রয়েছে। সেখানকার ক্যালেন্ডার বাকি বিশ্বের থেকে ৭ বছর ৩ মাস পিছিয়ে। এখানে শেষ মাসকে বলা হয় পাইগুম, যা মাত্র ৫ বা ৬ দিনের। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শেষ মাসটিতে কয়েকটি দিন জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যে দিনগুলি কোনও কারণে বছরের গণনায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
ইথিওপিয়া এখনও তার প্রাচীন ক্যালেন্ডার ব্যবহার করছে। এখানকার লোকেজন তাদের সেই ক্যালেন্ডারের কারণে ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে নতুন শতাব্দী উদযাপন করেছিল। বলা হয়, এই ক্যালেন্ডার ৫২৫ খ্রিস্টাব্দে রোমান চার্চ দ্বারা সংশোধন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- টানা ১২ মাস গরম! পৃথিবীর নিচের জল ফুটছে! ঘোর বিপদের সতর্কতা ৫০ জন বিজ্ঞানীর
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। ইথিওপিয়া তার নিজস্ব ক্যালেন্ডার সিস্টেম অনুসরণ করে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিনগুলো হয় যে দিনগুলো বাকি বিশ্বের থেকে আলাদা।
এই দেশে আসা পর্যটকদের কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না। প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে এখানকার আফার অঞ্চলকে সবচেয়ে প্রাচীন বলা হয়। বিশ্বাস করা হয়, মানুষ এখানে প্রথম বসবাস শুরু করেছিল। খননকালে ৩.২ মিলিয়ন বছরের পুরনো একটি হোমিনিড কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল সেখানে