এ সময়টা স্বামী মাসির বাড়ি ৷ কেমন করে কাটে তাঁর সময় ৷ কীই বা করেন তিনি ? পুরীতে বিভিন্ন রকম কাহিনি প্রচলিত রয়েছে ৷ বলা হয়, গুণ্ডিচা মন্দিরের যজ্ঞবেদিতে ত্রিদেব-দেবীকে স্থাপন করে, নিত্যপূজা চলে ৷ সাতদিন ধরে চলে এই পূজো-পাট ৷ এই সাতটি দিনের মধ্যেএকটি বিশেষ দিন হল— 'হেরাপঞ্চমী'। রথযাত্রার চতুর্থ দিনে পঞ্চমী তিথিকে বলা হয় 'হেরাপঞ্চমী'। ওই দিন গুণ্ডিচা মন্দিরে রথভঙ্গোত্সব হয়।
advertisement
আষাঢ় মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিটি ‘হেরা পঞ্চমী’ নামে পরিচিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সকলে রথে চেপে গুণ্ডিচা বাড়ি বেড়াতে গেলেও জগন্নাথের স্ত্রী মহালক্ষ্মী মন্দিরেই থেকে যান। এতে স্বাভাবিক ভাবেই মহালক্ষ্মী জগন্নাথের উপরে ক্রুদ্ধ হন এবং গুণ্ডিচা মন্দিরে একটি পালকিতে করে সুবর্ণ মহালক্ষ্মী রূপে এসে যত শীঘ্র সম্ভব মন্দিরে ফেরার জন্য জগন্নাথকে ভয় দেখান। তবে প্রভুর ছুটি কাটানোর এই অবসরে তাঁর স্ত্রীর স্বামী-সন্দর্শনের সৌভাগ্য ঘটে না। দূর থেকেই গুন্ডিয়ায় প্রভুকে দর্শন করে ক্ষান্ত দিতে হয় লক্ষ্মীকে। রথের কাছ থেকে মন্দিরের সামনে আরতি সম্পন্ন করেন লক্ষ্মীদেবী। তারপরে রাগের চোটে রথের একখান কাঠ ভেঙে শ্রী মন্দিরে ফিরে যান জগন্নাথজায়া।
অন্য আরেকটি মতে, সেই সময়ে মহালক্ষ্মীকে তুষ্ট করার জন্য জগন্নাথ আবার তাঁকে ‘আজ্ঞা মালা’ (সম্মতির মালা) উপহার দেন। অর্থাৎ জগন্নাথকে ছাড়া এই কয়েকটি দিন লক্ষীদেবীর বেশ মন খারাপ ৷