সাতসমুদ্দুর পেরিয়ে মনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি অপার ভক্তি নিয়ে বৃন্দাবনে এসেছিলেন ৩৬ বছর বয়সী যুবতী ইউনা। সেখানেই তাঁর আলাপ হয় ভারতীয় যুবক রাজকরণের সঙ্গে। যিনি প্রায় ২০ বছর ধরেই বৃন্দাবনে বসবাস করছেন। আর গুরুর আদেশে গোমাতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন রাজকরণ। ইউনাও বৃন্দাবনে এসে গো-সেবায় যোগ দেন। সেই সময় একসঙ্গে গো-সেবা করতে করতেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যান তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন- সিদ্ধান্ত বদল ! অবসর ভেঙে ফের ক্রিকেটে ফিরছেন মনোজ তিওয়ারি
যদিও তথাকথিত পুঁথিগত বিদ্যা নেই বছর পঁয়ত্রিশের রাজকরণের। এদিকে ইউনাও জানেন না হিন্দি ভাষা। তবে এই ভাষা কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তাঁদের ভালবাসার পথে। আসলে ভালবাসার ভাষা এমনই, যা আলাদা করে আর বোধহয় বোঝার দরকার পড়ে না। ফলে চার চোখের মিলনের পরে চার হাত এক হতেও আর বেশি সময় লাগেনি। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে দিল্লিতে সম্পূর্ণ হিন্দু রীতি-নীতি মেনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজকরণ আর ইউনা। আর বিয়ের পরে ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ রূপে গ্রহণ করেছেন ইউনাও। তাঁর গলায় সব সময় ঝোলে মঙ্গলসূত্র। আর নিয়মিত সিঁদুরে রাঙিয়ে রাখেন নিজের সিঁথি। এছাড়া ভারতীয় রীতি মেনে পায়ে পরে থাকেন নুপূরও।
আরও পড়ুন-লোকসভা ভোটের আগে এ রাজ্যে নিজেদের নড়বড়ে সংগঠন নিয়ে চিন্তায় বিজেপি
এই দম্পতিকে দেখে আশ্চর্য হন আশপাশের লোকজন। শুধু তা-ই নয়, বিদেশ থেকে আসা ভক্তরাও মুগ্ধ হয়ে দেখেন অমর প্রেমের প্রতীক এই জুটিকে। দিনের বেলায় গো-সেবায় নিজেদের ব্যস্ত রাখেন রাজকরণ-ইউনা। আর সন্ধ্যাবেলায় বৃন্দাবনের ইসকন মন্দিরের বাইরে ধর্মীয় পুস্তক বিক্রি করে এবং ভক্তদের কপালে চন্দনের তিলক এঁকেই রুজি-রোজগার চালান এই দম্পতি।