অন্যের বগল থেকে আসা ঘামের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হন অনেকেই। আজকাল অবশ্য বেশিরভাগ মানুষ বডি স্প্রে ব্যাবহার করেন। তবে কিছু মানুষ ব্যবহার করেন না। মূলত তাঁদের জন্যই ট্রেনে-বাসে সহযাত্রীদের অস্বস্তিতে পড়তে হয়।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হতে পারে, কোন প্রাণী সবার আগে টের পায়? জেনে নিন
গবেষণা বলছে, অন্যের ঘামের দু্র্গন্ধ নাকে আসার অনেক ভাল দিকও আছে। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী! সুইডেনের ক্যারোলিনসকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন বিজ্ঞানী সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই দাবি তাঁদেরই।
advertisement
গবেষণাপত্রটি বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন হিসেবে ছাপা হয়েছে। বেশ কয়েক জন মানুষকে বেছে নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মধ্যে প্রত্যেকে কোনও না কোনও মানসিক সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন।
কয়েকজনকে দেওয়া হয় অন্যের ঘাম ভর্তি শিশি। কয়েকজনকে দেওয়া হয় সাধারণ বাতাস। যাঁরা ঘাম ভর্তি শিশির গন্ধ শুকেছিলেন, তাঁঁদের কিছুক্ষণের মধ্যে মানসিক চাপ বা উদ্বেগ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। যাঁরা সাধারণ বাতাস শুকেছিলেন, তাঁদের তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি।
আরও পড়ুন- কেন বাড়ির সামনে থাকে তুলসি গাছ? কেন পুজো করা হয়? বৈজ্ঞানিক কারণ জানলে অবাক হবেন
বিজ্ঞানীদের সেই দলের গবেষণার রিপোর্ট বলছে, মানুষের মানসিক পরিস্থিতির উপর ঘামের গন্ধ নির্ভর করে। অর্থাৎ কেউ আনন্দে থাকলে তাঁর শরীরে ঘামের গন্ধ একরকম, দুঃখে থাকলে আরেকরকম। আবার সেই মানুষের গামের গন্ধ অন্য কেউ শুকলে তাঁর মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন হবে।