আজ বিশ্ব হাসি দিবস: প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম শুক্রবার পালিত হয় বিশ্ব হাসি দিবস। ‘হর্ষোল্লাস এবং ভাল কাজ’-এর জন্য এই দিন নিবেদিত। এ বছর আজ ৬ অক্টোবর পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব হাসি দিবস’।
বিশ্ব হাসি দিবসের থিম: এ বছর বিশ্ব হাসি দিবসের ট্যাগ লাইন হল, ‘দয়ালু হন – একজনের মুখে হাসি ফোটান’। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-এর বিশ্ব হাসি দিবসের থিম ‘খুশির বিচ্ছুরণ’।
advertisement
বিশ্ব হাসি দিবসের ইতিহাস: ১৯৬৩ সাল। ওরচেস্টার ম্যাসাচুসেটসের শিল্পী হার্ভে বল নিজের একটি হাসিখুশি মুখের ছবি দেন। কালক্রমে সেটাই সদিচ্ছা এবং আনন্দের প্রতীক হয়ে ওঠে। কিন্তু বাণিজ্য বড় দায়। হার্ভে দেখেন সেই হাসিখুশি মুখ এমন সব জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে যার ফলে ধীরে ধীরে ছবির আসল মানেটাই বদলে যাচ্ছে। উদ্বিগ্ন হার্ভে ভাবেন, এক কাজ করা যাক। হাসির জন্য একটা দিন রাখলে কেমন হয়। সেই দিনটা হাসিখুশিতে কাটানো এবং সহৃদয় আচরণের জন্য উৎসর্গ করা হবে। সেই শুরু।
প্রথমবার বিশ্ব হাসি দিবস পালিত হয় ১৯৯৯ সালে, উরচেস্টারে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সহৃদয়তার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল এর মুখ্য উদ্দেশ্য। তারপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটা পালিত হচ্ছে। ২০০১ সালে মারা যান হার্ভে। তাঁর স্মৃতিতে তৈরি হয় ‘হার্ভে বল ওয়ার্ল্ড স্মাইল ফাউন্ডেশন’। এই ফাউন্ডেশনই প্রতি বছর বিশ্ব হাসি দিবসের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে চলেছে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা: হাসি নিউরোপেপটাইডকে ট্রিগার করে। এটা স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়ে। রক্তে স্ট্রেস-সম্পর্কিত হরমোনের নিঃসরণ কমাতেও সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, হাসি রক্তচাপ কমায়। হাসার সময় হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বাড়ে। পেশি শিথিল হয়। যার ফলে হৃসস্পন্দন এবং রক্তচাপ উভয়ই হ্রাস পায়।
শুভেচ্ছা ও উক্তি:
‘এই হাসি দিয়েই পৃথিবী জয় করতে পারেন’।
‘হাসি হল সেই সুখ যা নাকের নিচে পাওয়া যায়… তাই অহং দূরে সরিয়ে প্রাণ খুলে হাসুন’।
একটা হাসি থেকেই শান্তি শুরু – মাদার টেরিজা।
ভ্রুকুটির ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে হাসি – উইলিয়াম শেক্সপিয়র।