২০১৫ সালে, মাত্র ছ’মাস বয়সে অস্কার নামে এই বিড়ালটিকে পোষা শুরু করেন হাসপাতালের কর্মীরা৷ তাকে ‘থেরাপি ক্যাট’ হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ তবে সে এখন আর সে কেবল মাত্র থেরাপি ক্যাট নেই, সে নাকি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুর খবর আগে থেকেই পায়৷
প্রথমে বিষয়টি চিকিৎসকরা লক্ষ্য করেননি৷ এমনিতে অস্কার একা থাকতেই পছন্দ করে৷ কদাচিৎ সে কোনও রোগীর বেডে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং সেই বেডে রোগীর সঙ্গে আত্মীয়তা তৈরির চেষ্টা করে৷ আর তার কয়েকঘণ্টায় মধ্যে সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়৷ প্রাথমিক ভাবে এই নিয়ে কোনও বিশেষ ভাবনা ভাবতে চাননি৷ কিন্তু পরপর ২০ বার এই ঘটনা ঘটেছে হাসপাতালে, তার পরেই তাঁদের মনে একটি বিশ্বাস জন্মায়, অস্কার বুঝি মৃত্যুর আভাস পায়৷
advertisement
ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভিড ডোসা জানিয়েছেন, ‘অস্কারকে প্রথম থেকেই ভীষণ পবিত্র বিড়াল বলে মনে করা হল৷ সবসময় ও বাইরে আসে না বা আসতে চায় না৷ নিজের মতো করে থাকতে ভালবাসে৷ কোনও সাপ্লাই আলমারি বা কোনও এমনি বিছানার তলায় ও থাকে৷ কিন্তু কেউ মৃত্যুপথযাত্রী হলেই ও সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়৷’ বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃত্যুপথযাত্রীর শরীর থেকে যে বায়োকেমিক্যাল নির্গত হয়, সেটি বুঝতে পারে অস্কার আর সেই কারণেই ও সেখানে এসে হাজির হয়৷