সতনা, মধ্যপ্রদেশ: সরকারি ভাতা দেওয়ার নামে প্রতারণা! সর্বস্ব খোয়ালেন মহিলা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যা টাকা ছিল সব লুটে নিল প্রতারকরা। এমনই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মাউগঞ্জ জেলায়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা।
কানহাইয়া বেঁধা গ্রামের বাসিন্দা নীতু যাদব। তাঁর মোবাইল নম্বরে স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসার পরিচয় দিয়ে ফোন করে প্রতারকরা। বলে, সরকার টাকা দেবে। ফোনপে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস চাই। সরল মনে সবই দিয়ে দেন নীতু।
advertisement
আরও পড়ুন– ‘বিয়েতে না এলে…’ নিমন্ত্রণ পত্রেই ‘ধমক’ অতিথিকে ! হরিয়ানভিতে লেখা বিয়ের কার্ড ভাইরাল
এর কিছুক্ষণ পরেই মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যায়। অ্যাকাউন্টে ১৯ হাজার টাকা ছিল। পুরো টাকাই লুটে নেয় প্রতারকরা। মাথায় হাত পড়ে যায় নীতুর। কাঁদতে কাঁদতে মাউগঞ্জ থানায় পৌছন তিনি। সাইবার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। নীতুর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ৯ জুলাই সন্তানের জন্ম দেন নীতু। কিন্তু সরকারের প্রসূতি সহায়তা ভাতা পাচ্ছিলেন না। একাধিকবার পঞ্চায়েতে গিয়েছেন। বিডিও অফিসের কড়া নেড়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। মাউগঞ্জের সিভিল হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেও ভাতার টাকা পাননি।
এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন নীতু। রবিবার তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। কলার বলেন, “স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলছি। আপনার সন্তান হয়েছে। সরকার আপনাকে ভাতা দেবে। ভাতার টাকা সরাসরি অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। তাই আপনার অ্যাকাউন্টের সব তথ্য আমাদের দিন।”
টাকা পাওয়ার কথা শুনে খুব খুশি হন নীতু। তিনি সরল মনে ফোনপে থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে দেন। মানে প্রতারকরা যা যা চেয়েছে সব। ফোন রেখে খুশি মনে বসেছিলেন নীতু। এবার টাকা ঢুকবে।
কিছুক্ষণ পর টাকার বদলে ঢোকে ব্যাঙ্কের মেসেজ। সেখানে লেখা, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১৯ হাজার টাকা ডেবিট হয়েছে। নীতু মোবালেই ব্যাঙ্কের অ্যাপ খুলে দেখেন, অ্যাকাউন্ট খালি। তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এবার কী হবে? যে কটা টাকা ছিল সব লুটে নিয়েছে প্রতারকরা।
কাঁদতে কাঁদতে থানায় যান নীতু। অফিসারদের সব কথা খুলে বলেন। তারপর লিখিত অভিযোগ জানান। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের সাইবার সেল প্রতারকদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অচেনা, অজানা কাউকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিলে এভাবেই ভুগতে হবে। এই ঘটনা থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।