ভিডিওয় বিয়ে পোশাকে নববধূ বলছেন, তাঁর বাবা অশোক চৌধুরী সমস্তিপুর জেলার বাংরা পুলিশ স্টেশন রাজওয়ার বাসিন্দা। তিনিও সেখানেই থাকতেন। বর্তমানে তিনি প্রাপ্তবয়স্ক। ফলে সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছেয় প্রেমিক রাজা কুমারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। রাজা রাজওয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর অনুরোধ, বাবা যেন স্বামী বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও মামলা না করেন। যদি এমন ঘটনা ঘটান তবে তার জন্য বাবা-মা সম্পূর্ণ দায়ী থাকবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
advertisement
শেষ কয়েকবছরে সমস্তিপুর থেকে একাধিক দম্পতিদের বিবাহের পরে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামীণ সমাজে বাবা-মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করা এখন ট্রেন্ড হয়ে উঠছে। বিশেষ করে মেয়েরা এখন ক্যামেরার সামনে এসে নিজেদের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে জানাচ্ছেন। নিজের দিক থেকে সমাজ ও প্রশাসনকে জানানোর জন্য ভিডিও পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, এই ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইন্টারনেট ও মোবাইলের বহুল ব্যবহার এই প্রবণতা বাড়াচ্ছে। আগে পালিয়ে গেলে ছেলেমেয়েরা ভয় পেত কিন্তু বর্তমানে সেগুলি লুকিয়ে রাখার পরিবর্তে তারা প্রকাশ্যে তাদের সিদ্ধান্ত স্বীকার করে নিচ্ছে। তবে এটাও সত্য, এ ধরনের ঘটনার পর অনেক সময় সামাজিক দ্বন্দ্ব, পারিবারিক বিরোধ এমনকি আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হয়। অনেকক্ষেত্রে প্রেম করে বিয়ের পর ছেলের পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয় বা সামাজিক বয়কটের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সম্ভবত এই কারণেই এই তরুণী এই ভিডিওর মাধ্যমে তার বক্তব্য তুলে ধরে সম্ভাব্য বিপদ থামানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কেউ একে সাহসী পদক্ষেপ বলছেন, আবার কেউ একে সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী মনে করছেন।