ইংরেজিতে একটি প্রবাদ চালু রয়েছে, ওয়ান্স ইন আ ব্লু মুন। অতি বিরল ঘটনা বোঝাতে ব্যবহার করা হয় প্রবাদটি। বিরল ঘটনাই বটে। ১৯৪৪ সালে শেষবার এমনটা হয়েছিল। ইতিহাস বলছে, ১৯৫৫ সালের হ্যালোউইনের রাতেও পূর্ণিমা ছিল ঠিকই, কিন্তু তা সারা বিশ্ব থেকে দেখা যায়নি। মার্কিন মুলুক থেকেই যেমন দৃশ্যমান ছিল না তা!
advertisement
ব্লু মুন কি সত্যিই নীল? বিজ্ঞানীরা বলছেন, লাল চাঁদ বা গোলাপি চাঁদ যেমন আক্ষরিক অর্থেই সেই রঙের হয়, ব্লু মুন ঠিক ততটা নয়। বিশেষ পরিবেশে নানা শর্ত মিলে গেলে একে নীলচে দেখাবে। তবে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ থেকেই একে দেখাবে খুব উজ্জ্বল, গোল।
কোনও বছরের একই মাসে দু’বার পূর্ণিমার চাঁদ দেখা গেলে দ্বিতীয় পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয় ব্লু-মুন। নামে ব্লু-মুন বা নীল চাঁদ হলেও নীল রঙের সঙ্গে এ চাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে একই দিন চন্দ্রগ্রহণ হলে চাঁদ রক্তিম রং ধারণ করে। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। ফলে ওই সময় চাঁদে লাল বা কমলা রঙের আভা দেখা যায়।
পৃথিবীর আকৃতি এবং ঘূর্ণনের জন্য সব জায়গায় একই সময়ে দেখা যাবে না ব্লু মুন। একেক জায়গা থেকে একেক সময়ে ব্লু মুন দেখা যাবে। আমাদের দেশে ৩১ অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮টার পর দেখা যাবে ব্লু মুন। তবে সময়ের ফারাকের জন্য অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ থেকে না-ও দেখা যেতে পারে ব্লু মুন।
যাঁরা চাঁদের ছবি তুলতে ভালোবাসেন, এমন সোনার সুযোগ মিস করবেন না। এমন উজ্জ্বল চাঁদ হয় তো এ জীবনে আর দেখা হবে না। তাই সাধ মিটিয়ে নিন। ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখুন।