মৃত সোনু সিংয়ের ভাই ভোঁবর সিং জানিয়েছেন, প্রায় ৫-৬ বছর আগে রিঙ্কু প্রথমে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পরে সে আরমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। যখন এই কথা সোনুর জানা যায়, তখন দু’জনের মধ্যে বিবাদ হয়। কিছুদিন আরমান ডাবি ছেড়ে চলে গেলেও পরে ফিরে এসে খুনের ছক কষে এবং এক লাখ টাকা সুপারি দিয়ে সোনুর হত্যা করায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বিদেশে জন্ম নেওয়া সন্তানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া কি সম্ভব? জানুন নিয়ম কী বলছে…
ভোঁবর সিংয়ের মতে, যখন পরিবারের সদস্যরা সোনুকে খুঁজছিল, তখন রিঙ্কু এবং আরমান নির্ভারভাবে ভিডিও কল ও চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত ছিল। পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও বিস্ময়কর যে একজন স্ত্রী, যিনি নিজের স্বামীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন, স্বামীর মৃত্যুর পরও প্রেমিকের সঙ্গে এমনভাবে যোগাযোগ রেখেছিলেন যেন কিছুই ঘটেনি।
পরিবারের দাবি, যখন তারা রিঙ্কুর মোবাইল ফোন পায়, তখন তাতে বেশ কিছু চমকপ্রদ চ্যাট মেলে। সেই চ্যাটে আইডি বন্ধ করার, লগ আউট করার এবং “আমরা ফেঁসে না যাই” ধরনের কথা লেখা ছিল। এসব প্রমাণের ভিত্তিতে পরিবার অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। ভোঁবর সিং বলেছেন, এই ঘটনা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে এবং পুলিশকে দ্রুত অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বিয়ের রাতে গোপন সত্য ফাঁস! বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিলেন পাত্রী…! তারপর যা হল…
এই ঘটনায় পুলিশ চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনা ঘটেছিল ৪ আগস্ট, যখন সোনু সিং হাড়াকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।
পুলিশ তদন্তে জানা গেছে, মৃত সোনু সিংয়ের স্ত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত আরমান মোহাম্মদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকাকে পাওয়ার জন্য আরমান মোহাম্মদ সোনুকে হত্যার ছক কষে এবং এর জন্য তার তিন বন্ধু আকাশ, আকাশ, আশিস ও অনিল মীণাকে সঙ্গে নেয়।
পুলিশের মতে, আরমান মোহাম্মদ সোনুকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করে “পার্টি”-র অজুহাতে ডেকে নেয়। সেখানে চারজন মিলে সোনুর উপর টানা ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। সোনুর শরীরে প্রায় ৩০ বার ছুরি মারা হয় এবং শেষে তার গলা কেটে দেওয়া হয়। খুনের পর সবাই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
যখন সোনু বাড়ি ফেরেনি, পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করে। খোঁজাখুঁজির সময় খালের কাছে রক্তে ভেজা সোনুর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বুন্দি পুলিশ সুপার রাজেন্দ্র কুমার মীণা জানিয়েছেন, পুরো ঘটনাটি প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ঘটেছে এবং এর জন্য এক লাখ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সব অভিযুক্তকে জেলে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।