TRENDING:

মেয়ের বিয়েতে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক; এর পর যা করলেন বরের বাবা… সেই ঘটনার চর্চাই এখন সারা দেশে!

Last Updated:

খেদি রামলার বাসিন্দা আইনজীবী সানওয়ালরাম মীনা তাঁর পুত্র সুরেন্দ্র মীনার বিয়েতে পণপ্রথার বিরুদ্ধে সকলকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
জয়পুর: আগেকার দিনে মা-বাবারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে আদরের মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতেন। আসলে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে যাতে মেয়ের সমস্যা না হয়, তার জন্যই এমনটা করার চল ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা রীতিমতো পণের আকার ধারণ করেছে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির দাবি সাধ্যমতো মেটানোর চেষ্টা করেন মেয়ের মা-বাবারা। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাতেও রক্ষে থাকে না! শ্বশুরবাড়ির দাবির তালিকা আরও লম্বা হতে থাকে। এভাবে বহু মেয়েকেই পণের অত্যাচারের শিকার হতে হয়!
মেয়ের বিয়েতে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক; এর পর যা করলেন বরের বাবা… সেই ঘটনার চর্চাই এখন সারা দেশে!
মেয়ের বিয়েতে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক; এর পর যা করলেন বরের বাবা… সেই ঘটনার চর্চাই এখন সারা দেশে!
advertisement

পণ প্রথা আসলে অবৈধ। যদিও সেটা মানছে কে! আইনকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আজকের দিনেও দেশের আনাচেকানাচে প্রকাশ্যেই পণ নেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি রাজস্থানের দৌসা জেলায় এমন একটি ঘটনার কথা সামনে এসেছে, যা গোটা দেশের মানুষের সামনে একটা জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। আসলে সেখানে কন্যার বিয়েতে সাধ্যমতো যৌতুক দিতে চেয়েছিলেন মেয়ের বাবা। তবে সেই যৌতুক নিতে অস্বীকার করেছেন বরের পরিবারের সদস্যরা। যা এই সময়ে দাঁড়িয়ে সত্যিকারের দৃষ্টান্ত।

advertisement

আরও পড়ুন– লোকসভা ভোটের আগেই চালু সিএএ, মতুয়ারা এতে কতটা লাভবান হলেন? রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে

খেদি রামলার বাসিন্দা আইনজীবী সানওয়ালরাম মীনা তাঁর পুত্র সুরেন্দ্র মীনার বিয়েতে পণপ্রথার বিরুদ্ধে সকলকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আইনজীবী মীনার বেয়াই এই বিয়ে উপলক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সৌভাগ্যের চিহ্ন স্বরূপ মাত্র এক টাকা নিজের কাছে রেখে বাকি টাকা ফেরত দিয়ে দেন তিনি।

advertisement

ঠিক কী কী ঘটেছিল? দৌসা জেলার সিকরাই তহসিলে বসেছিল বিয়ের আসর। আলুদার বাসিন্দা রামধন মীনার মেয়ের সঙ্গেই সুরেন্দ্র মীনার বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে টিকা অনুষ্ঠানের সময় শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে নতুন জামাইয়ের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকা তুলে দেন মেয়ের বাবা। কিন্তু সেই সময়ই এগিয়ে আসেন ছেলের বাবা। শগুন হিসেবে এক টাকা রেখে পুরো টাকাটাই ফেরত দিয়ে দেন। মেয়ের হবু শ্বশুরের এহেন কাজে কার্যত বিস্মিত হয়ে যান রামধন মীনা!

advertisement

আরও পড়ুন– এই ভুল করলেই সর্বনাশ ! সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হবে ওয়াশিং মেশিন, আপনার যা করা উচিৎ

সুরেন্দ্রর বাবা আইনজীবী সানওয়ালরাম মীনা বলেন, “যৌতুক বা পণ হল একটি কুপ্রথা। এটা বন্ধ করা খুবই জরুরি। যাতে কোনও পিতামাতা নিজেদের মেয়েকে বোঝা না মনে করেন।” তাঁর এই বার্তা দাগ কেটেছে সকলের মনে। ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এই বিয়ে! সেই সঙ্গে সকলেই আইনজীবী মীনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ!

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
মেয়ের বিয়েতে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক; এর পর যা করলেন বরের বাবা… সেই ঘটনার চর্চাই এখন সারা দেশে!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল