দেশের লক্ষ লক্ষ পরিবার ট্রেনে যাত্রা করেন, এবং শিশুদের টিকিট নিয়েই সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন ওঠে। অনেকেই মনে করেন ছোট বাচ্চারা বিনা টিকিটে ভ্রমণ করতে পারে বা প্রত্যেক শিশুর জন্য অর্ধেক টিকিট সহজেই মেলে। কিন্তু রেলওয়ের নিয়ম কিছুটা আলাদা, এবং এগুলি না জানলে যাত্রাপথে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে নতুন যাত্রীদের জন্য এই তথ্য আরও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শিশুদের টিকিট নিয়ে রেলওয়ের নির্দেশিকা খুবই স্পষ্ট হলেও অনেকসময় তা নজর এড়িয়ে যায়।
advertisement
ভারতের হামলার ৬ মাস পরেও পাকিস্তানের যা হাল! …স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়ল গোপন সত্যি!
রেলওয়ের অর্ধেক টিকিটের ব্যবস্থা এখনও কার্যকর, কিন্তু কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। পরিবারগুলি প্রায়ই শিশুর আলাদা আসন হবে কিনা তা মাথায় রেখে টিকিট কাটেন, কিন্তু ভুল ধারণার কারণে কখনও বাড়তি ভাড়া দিতে হয়, আবার কখনও নিশ্চিত আসনও মেলে না। তাই নিয়মগুলি জানা থাকলে যাত্রা সহজ হয়।
রেলওয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পাঁচ বছরের কম বয়সী কোনও শিশুর টিকিট লাগে না। তারা বিনা টিকিটে ভ্রমণ করতে পারে, তবে আলাদা আসন বরাদ্দ হয় না। অর্থাৎ তারা অভিভাবকের আসনেই বসবে। পাঁচ থেকে বারো বছরের শিশুদের জন্য অর্ধেক টিকিটের সুবিধা রয়েছে। তবে অর্ধেক ভাড়ায় টিকিট নিলে আসন মেলে না। আলাদা আসন চাইলে পূর্ণ ভাড়া দিতে হবে।
আলাদা আসন চাইলে পূর্ণ ভাড়া দিতেই হবে।
এই নিয়মটি অনেক অভিভাবককে বিভ্রান্ত করে। অর্ধেক টিকিটকে শুধু ভ্রমণের অনুমতি হিসেবে ধরা হয়, তাই এতে আসন বরাদ্দ নেই। অনেকেই টিকিট কাটার সময় এই বিষয়টি বুঝতে পারেন না, এবং পরে অভিযোগ করেন কেন শিশুর জন্য আসন দেওয়া হল না। রেলওয়ের সিস্টেমে এই নিয়ম স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে এবং সব বুকিংয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রায় সিদ্ধান্তটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।
যাত্রা ছোট হলে এবং শিশু কিছুক্ষণ অভিভাবকের সঙ্গে বসে যেতে পারলে অর্ধেক টিকিট যথেষ্ট। কিন্তু দীর্ঘ দূরত্বে শিশুদের জন্য আলাদা আসন প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। সেই ক্ষেত্রে শুরুতেই পূর্ণ টিকিট কাটা উত্তম। এতে যাত্রা স্বচ্ছন্দ হয় এবং আসন নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তাও থাকে না। ছুটির সময় বহু পরিবার এই ভুল করেন এবং পরে সিট পেতে সমস্যায় পড়েন।
