কৃষ্ণের জন্ম অনুসারে পালিত হয় জন্মাষ্টমী, তার কিছু দিন পরেই পালিত হয় রাধার জন্ম তিথি। মনে করা হয় ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন রাধা। সেই দিনটিই রাধাষ্টমী হিসাবে পালিত হয়। আবার যেহেতু জন্মদিন, সেই কারণে ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের এই পুণ্য অষ্টমী তিথি রাধা জয়ন্তী (Radha Jayanti) নামেও সমধিক প্রসিদ্ধ।
advertisement
আরও পড়ুন- মনের মানুষের থেকে সমান ভালোবাসা চাইছেন? শুধু মেনে চলতে হবে ফেং সুইয়ের এই কয়েকটা নিয়ম
চলতি বছরে রাধাষ্টমীর লগ্ন
এই বছরে ভাদ্রমাসের এই মহা পুণ্যময় অষ্টমী তিথি শুরু হয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টে ১১ মিনিটের পর থেকে, থাকবে ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ০৯ মিনিট পর্যন্ত। অতএব, এই সময়ের মধ্যেই পূজা দিতে হবে শ্রীরাধিকার। দেখে নেওয়া যাক জন্মতিথিতে কী ভাবে আরাধনা করলে ভক্তের প্রতি প্রসন্ন হবেন রাধিকা!
রাধাষ্টমী পূজাবিধি
১. সকালে স্নান সেরে, শুদ্ধবস্ত্রে ঠাকুরঘরে গঙ্গামাটি দিয়ে একটি গোলাকার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।
২. তার মধ্যে একটি তামার বা মাটির ঘট রেখে তার উপরে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ বা ছবি স্থাপন করতে হবে।
৩. এবার আগে রাধাকে ধূপ, দীপ, ফলের নৈবেদ্য অর্পণ করে উপবাসের সঙ্কল্প করতে হবে।
৪. নির্জলা উপবাসে অসমর্থ হলে ফলাহার করা যাবে।
৫. পুণ্য লগ্নের মধ্যে ফুল, নতুন কাপড়, সিঁদুর, আতপ চাল, ফল, মিষ্টান্ন দিয়ে রাধার পূজা করতে হবে।
আরও পড়ুন- রাশিফল ১৪ সেপ্টেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
বলা হয়, রাধার সঙ্গে সম্মিলিত রূপে থাকলে তবেই কৃষ্ণের নামের আগে শ্রী সম্বোধন যুক্ত হয়। তাই, যাঁরা কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী (Krishna Janmashtami) ব্রত উদযাপন করেছেন, তাঁরা যদি রাধাষ্টমী ব্রত পালন না করেন, তবে পূর্ণ ফললাভ হবে না।