TRENDING:

কাটা হাত, পা দিয়ে সেলাই করেই সন্তানদের ভবিষ্যৎ বুনছেন মা! জীবনযুদ্ধ জয়ের এই গল্প জানলে অবাক হবেন

Last Updated:

হারিয়েছেন দু’টো হাতই। তা সত্ত্বেও সমস্ত প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ উপহার দিতে চান তিনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সন্তানের জীবনে সবথেকে বড় অবদান থাকে মায়ের। এমনকী সন্তানের জন্য যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে পারেন এক জন মা-ই। আজ এমনই এক মায়ের গল্প শুনে নেওয়া যাক। যিনি হারিয়েছেন দু’টো হাতই। তা সত্ত্বেও সমস্ত প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ উপহার দিতে চান তিনি।
কাটা হাত, পা দিয়ে সেলাই করেই সন্তানদের ভবিষ্যৎ বুনছেন মা! জীবনযুদ্ধ জয়ের এই গল্প জানলে অবাক হবেন
কাটা হাত, পা দিয়ে সেলাই করেই সন্তানদের ভবিষ্যৎ বুনছেন মা! জীবনযুদ্ধ জয়ের এই গল্প জানলে অবাক হবেন
advertisement

এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন রাজস্থানের দুঙ্গারপুরের সুরপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রবীণা সেবক। স্বামী এবং দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল। কিন্তু ৯ বছর আগে তাঁদের জীবনে ঘনিয়ে আসে বিপদের মেঘ। এক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রবীণার স্বামী। ফলে দুই সন্তানের দায়িত্ব এসে পড়ে প্রবীণার কাঁধেই। স্বামী হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের প্রবীণার জীবনে নেমে আসে দুর্যোগের ছায়া। ছাদে কাপড় শুকোতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসেন প্রবীণা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এই দুর্ঘটনায় নিজের হাত দুটো হারিয়েছিলেন প্রবীণা। এর কিছু সময় পরেই তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িও গত হন। এই পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়েননি সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা এক মা।

advertisement

আরও পড়ুন: বিকিনি পরে ‘জল রাক্ষস’-এর সঙ্গে জলকেলি, কী করে এমনটা সম্ভব, ভিডিও দেখে হতবাক সকলেই

হাত নেই তো কী, পা তো আছে। তাই জামাকাপড় সেলাই করা শিখতে থাকেন প্রবীণা। পা আর কাটা হাত দিয়েই মেশিন চালান তিনি। ছেঁড়া কাপড় সেই করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে সন্তানদের ভরণপোষণ করেন তিনি। ছেলে মিহিরের বয়স ১৭ আর কন্যা বৈষ্ণবী ১৩ বছরের কিশোরী। জীবনযুদ্ধে মা-কে যথাসাধ্য সাহায্য করে তারাও। স্কুলে যাওয়ার আগে মা-কে খাওয়ানো, স্নান করানো – এসবই করে বৈষ্ণবী। এমনকী কাপড় সেলাইয়ের সময়ও সাহায্য করে সে।

advertisement

আরও পড়ুন: ‘মোকা’ ঘিরে সতর্কতার মধ্যেই প্রকাশ্যে পরের ‘ঘূর্ণিঝড়ের’ নাম… শুনলেই চমকে উঠবেন বাংলার মানুষ!

তবে সব সময় যে প্রবীণার ভাল রোজগার হয়, এমনটা একেবারেই নয়। কারণ দুই হাত না থাকায় দ্রুত সেলাই করতে পারেন না তিনি। আর শরীরও সব সময় ভাল থাকে না। যার কারণে বেশি কাজও হাতে নিতে পারেন না বলে আক্ষেপ প্রবীণার। ফলে এক-এক মাসে ভাল রোজগার হয়, তো অন্য মাসে আবার একটু কষ্টসৃষ্টেই সংসার চলে। তবে এসবের পরেও হাল ছাড়তে নারাজ প্রবীণা। এভাবেই কাটা হাত আর পা দিয়েই জামাকাপড় সেলাই করে সন্তানদের ভবিষ্যৎ বুনে দেওয়ার স্বপ্ন একটু একটু করে সফল করতে চান তিনি!

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
কাটা হাত, পা দিয়ে সেলাই করেই সন্তানদের ভবিষ্যৎ বুনছেন মা! জীবনযুদ্ধ জয়ের এই গল্প জানলে অবাক হবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল