আসলে সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও সামনে এসেছে। যা নিমেষের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিওটি ট্যুইটারে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেছেন ডিজে নিখিল চিনাপা। ভিডিওটি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। আর ওই ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “ব্রেকিং নিউজ: এই মুহূর্তে মুম্বই বিমানবন্দরে ঠিক এটাই হচ্ছে।” যদিও ভিডিওটি খুবই সংক্ষিপ্ত। কিন্তু তাতেও যেন ধরা পড়েছে আনন্দোজ্জ্বল আমেজ।
advertisement
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে লোভনীয় মিষ্টি! এয়ার ইন্ডিয়ার ইন-ফ্লাইট মেনুতে বড় পরিবর্তন
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক জায়গায় গোল করে গরবা শুরু করেছেন বিমান এবং বিমানবন্দরের কর্মীরা। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে বলিউডের এক ছবির জনপ্রিয় গরবার গান। আর সেই দৃশ্য চাক্ষুষ করতে জড়ো হয়েছেন অন্যান্যরাও। সকলেই ফোন কিংবা ক্যামেরায় সেই দৃশ্য বন্দি করে নিয়েছেন। শেষে দেখা যাচ্ছে নিখিলকেও। মুম্বই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে নিখিলের পোস্টের রিপ্লাই দিয়েছেন। তাঁরা লিখেছেন, “পুরোদমে আমরা উৎসবের মেজাজে রয়েছি! আমাদের এই আনন্দ এবং উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, নিখিল। আনন্দোজ্জ্বল উৎসবের মরশুমের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপনাকে। আমাদের আশা, আমরা আবার আপনার সঙ্গে উৎসবের আনন্দ খুব শীঘ্রই ভাগ করে নিতে পারব।”
এই ভিডিওটি আবার পোস্ট করেছেন আনন্দ মাহিন্দ্রাও। সেই সঙ্গে তিনি দশেরার শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন বার্তাও জানিয়েছেন। আনন্দ লিখেছেন, “ভারতীয় অর্থনীতির আলোকিত উজ্জ্বল অবস্থা এখন গোটা বিশ্বের কাছেই আলোচ্য বিষয়। এটাই শুধু আমাদের অর্থনীতি নয়। আর নাচের জন্য আমরা সব সময়ই প্রস্তুত, আর এই আলো আসে সেখান থেকেও। এমনকী কিছু কিছু দেশ এখনও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা অশুভের উপর শুভর জয়টাকেই উদযাপন করে থাকি। সকলকে জানাই শুভ দশেরা।”
আরও পড়ুন: ভিড় লোকাল ট্রেনেই গরবা নাচে মাতলেন মহিলারা! উৎসবের মরশুমে ভাইরাল সেই ভিডিও
ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে গত ৪ অক্টোবর। এখনও পর্যন্ত এই ভিডিও-র ভিউ সাড়ে সাত লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ওই ট্যুইটের রিপ্লাইয়ে আবার এক জন বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের একটি সাম্প্রতিক ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানেও ধরা পড়েছিল একই ছবি।
শুধু নিখিলই নন, আর এক জনও এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, “কী সুন্দর দৃশ্য! এটাই আমাদের ভারতবর্ষ, এটাই আমাদের উৎসবের উদযাপন, এটাই আমাদের সংস্কৃতি, এটাই আমাদের আনন্দ!”