এই অস্ত্রোপচারটি মধ্য ভারতে এই প্রথম এবং অন্যতম জটিল মাইক্রোভাসকুলার সার্জারির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। রোগীর হাতের চামড়া ও মাংসপেশী নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি সম্পূর্ণ নতুন পুরুষাঙ্গ, যা সতর্কভাবে যৌনাঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
advertisement
এই প্রক্রিয়ায় মূলত শরীরের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টিস্যু ও রক্তনালীর সংযোগ স্থাপন করা হয়, যাতে রক্ত সঞ্চালন ও স্নায়ু সংবেদন স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে।
এই ধরণের মাইক্রোভাসকুলার সার্জারিতে প্রতি মিলিমিটারে অসংখ্য স্নায়ু, ধমনি ও শিরা জোড়া দিতে হয়। এই সার্জারির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে উন্নত মানের সার্জিক্যাল মাইক্রোস্কোপ। শুধুমাত্র ক্যানসার আক্রান্তই নয়, দুর্ঘটনায় যৌনাঙ্গ হারানো রোগীদের জন্যও এই প্রযুক্তি আশার আলো হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতের অধিকাংশ অপরাধী গা ঢাকা দিতে কোন দেশে আশ্রয় নেন জানেন! ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর…
হাসপাতালের ডিন ডঃ সজল মিত্র এই কৃতিত্বের জন্য গোটা চিকিৎসক দলকে অভিনন্দন জানান। দলে ছিলেন ডঃ জিতেন্দ্র মেহতা, ডঃ সমীর মহাকালকর, ডঃ অশ্বিনী পণ্ডিত্রাও, ডঃ দেব প্যাটেল, ডঃ অভিরাম মুন্ডলে, ডঃ কন্বরবীর এবং ডঃ পল্লবী।
এই অসাধারণ সফলতার মাধ্যমে প্রমাণিত হল যে আধুনিক প্রযুক্তি ও চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা একত্রিত হলে, নতুন জীবন দেওয়াও সম্ভব। এটি নিঃসন্দেহে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য একটি গর্বের অধ্যায়।