ছোটেলাল ঘাবড়ে যান। মদ খাওয়া তো দূরের কথা, তিনি ছুঁয়েও দেখেননি। কিন্তু এসএইচও এসব মানতে নারাজ। ব্রেথ অ্যানালাইজার নিয়ে এসে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তাতেও মদ্যপানের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। এরপর শুরু হয় কথা কাটাকাটি।
advertisement
ছোটেলাল যত বলেন, তিনি মদ খাননি, তত রেগে যান এসএইচও। অভিযোগ, রেগেমেগে এক পর্যায়ে ছোটেলালকে চড় মেরে বসেন অনুজ কুমার পাঠক। শুধু তাই নয়, বেদম মারতে শুরু করেন। সঙ্গে চলে অশ্রাব্য গালিগালাজ। এমনই অভিযোগ করেছেন সাব ইন্সপেক্টর ছোটেলাল কুমার।
বাড় সাবডিভিশনের সাম্যগড় থানার এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা বিহারে। লোকের মুখে মুখে ঘুরছে থানার মধ্যে সাব ইন্সপেক্টরকে মারধরের কথা। ঘটনার পরই নিজের মেডিক্যাল পরীক্ষা করান ছোটেলাল। সাসপেন্ড করা হয়েছে এসএইচও অনুপ কুমার পাঠককে।
ঠিক কী ঘটেছিল? সাব ইন্সপেক্টর ছোটেলাল কুমার বলেন, “রাত ১০টা থেকে আমার নাইট ডিউটি ছিল। সেই মতো থানায় পৌঁছই। কিন্তু ঢোকা মাত্র থানা ইনচার্জ অনুজ কুমার পাঠক এসে বলতে শুরু করেন, আমি না কি মদ খেয়ে এসেছি।”
অভিযোগ অস্বীকার করার পরেও ছাড়েননি অনুজ কুমার পাঠক। এমনই অভিযোগ ছোটেলালের, “জোর করে ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়ে আমাকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু তাতেও মদ্যপানের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপরই তিনি আমায় মারধর শুরু করেন। সব পুলিশ কর্মীদের সামনে গালে চড় মারেন। এরপরই আমি হাসপাতালে গিয়ে নিজের মেডিক্যাল পরীক্ষা করাই।”
ছোটেলালের বিরুদ্ধে মদ্যপানের অভিযোগ ছিল বলে নিজের পক্ষে সাফাই দিয়েছেন এসএইচও অনুজ কুমার পাঠক। তিনি বলেন, “সাব ইন্সপেক্টর ছোটেলাল কুমার মদ্যপ অবস্থায় ডিউটিতে এসেছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই মতো পদক্ষেপ করা হয়। ব্রেথ অ্যানালাইজার মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল তাঁকে। ছোটেলালের বিরুদ্ধে থানার বাইরে ইউনিফর্ম পরে সিগারেট খাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।”
ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করেন এএসপি রাকেশ কুমার। সেই মতো তদন্তও হয়। তদন্ত শেষে সাম্যগড় থানার ইনচার্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন এসএসপি অবকাশ কুমার। এসএইচও অনুজ কুমার পাঠককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, তদন্তে দু’জনকেই দোষী পাওয়া গিয়েছে। তাই দু’জনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।