খৌরিয়া বালাজি এলাকার বাসিন্দা জিতেন্দ্র দাস। ঘটকের সাহায্যে উত্তরপ্রদেশের বেনারসে তাঁর বিয়ে পাকা হয়েছিল। এর জন্য ঘটক নিয়েছিলেন ৩ লক্ষ টাকা। জিতেন্দ্র পঞ্জাবের ভাতিন্ডায় একটি মিষ্টির দোকান চালান। এরপর যোধপুরের বিরামি (লুনি)-র বাসিন্দা ইরশাদ আহমেদ ওরফে আকবরের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তিনি মাঝেমধ্যেই জিতেন্দ্রর দোকানে যেতেন। সেই আলাপের সময়ই ইরশাদের কাছে বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেন ওই জিতেন্দ্র। আর মেয়ে খুঁজে বিয়ে পাকা করতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা লাগবে বলে তাঁকে জানান ইরশাদ। এরপর ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রিয়াঙ্কা নামে এক পাত্রীর সঙ্গে দেখাশোনার দিনক্ষণ স্থির হয়। জিতেন্দ্রকে দেখে পছন্দ হয় পাত্রীর মা-বাবার। দুই পক্ষই বিয়েতে মত দেয়।
advertisement
বিয়ের সমস্ত আচার সম্পন্ন হতেই জিতেন্দ্র নববধূ প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে ভাতিন্ডা চলে যান। সেখানেই শুরু হয় সুখে ঘরকন্না। এদিকে ৪ জানুয়ারি জিতেন্দ্রকে ফোন করেন ইরশাদ। জানান, প্রিয়াঙ্কার বাবার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। জিতেন্দ্রও স্ত্রীকে সঙ্গে করে বেনারসে পৌঁছে যান। চার দিন তাঁরা সেখানে একসঙ্গেই ছিলেন। এরপর গত ৮ জানুয়ারি সেখান থেকে পালির উদ্দেশ্যে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে রওনা দেন জিতেন্দ্র। কিন্তু আগ্রা থানায় আসার পর প্রিয়াঙ্কা জানান যে, তাঁকে শৌচাগারে যেতে হবে। আর তারপর থেকে কোনও খোঁজ নেই প্রিয়াঙ্কার।
এদিকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরেও স্ত্রী না ফেরায় তাঁর খোঁজ করতে শুরু করেন জিতেন্দ্র। শৌচাগারেও যান, কিন্তু সেখানে প্রিয়াঙ্কাকে দেখতে পাননি। কার্যত বিধ্বস্ত অবস্থায় নিজের সিটে ফিরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন জিতেন্দ্র। এরপর ইরশাদ এবং প্রিয়াঙ্কার মা-বাবার ফোনে যোগাযোগ করলেও তা স্যুইচড অফ বলে জানান দেয়। এই পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টা বুঝতে আর বাকি থাকে না ওই যুবকের। তিনি বুঝতে পারেন যে, তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। জিতেন্দ্রর অভিযোগ, প্রিয়াঙ্কা সমস্ত গয়না এবং আলমারিতে রাখা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আপাতত আদালতের নির্দেশে পুলিশ একটা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।