সাধারণত প্রজননের জন্য মিলিত হয় মৌমাছিরা। মিলনের আগে ফোরোমোন নামের এক রাসানিক নির্গত হয় তাদের শরীর থেকে। কিন্তু বাতাসে এমনই দূষণ যে, সেই ফোরোমোন ঠিক মতো কাজই করছে না। ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বেশি বলে কমে যাচ্ছে ফোরোমোনের আকর্ষণ ক্ষমতা।সমস্যা এটুকুতেই থেমে নেই। বিপরীত লিঙ্গের মৌমাছিকে যেমন খুঁজে পাওয়া মুশকিল হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন - বাংলাদেশিকে অধিনায়ক করে বাঙালি সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দেবে কেকেআর? সম্ভাবনা ১৬ আনা
তেমনই নিজের লিঙ্গের মৌমাছির সঙ্গেই মিলন হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। স্ত্রী মৌমাছিরাও এই ক্ষেত্রে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। যেসব পুরুষ মৌমাছি ওজোন গ্যাসের প্রভাবে সেভাবে আকর্ষণ তৈরি করতে পারে না, তাদের দিকে তাকাচ্ছেই না স্ত্রী মৌমাছিরা। শুধু তাই নয়, মৌমাছিদের মধ্যেও চলে ইঙ্গিতের খেলা।
অর্থাৎ সঙ্গম করার ইচ্ছে জানান দিতে নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে পুরুষ মৌমাছিরা। কিন্তু তাতেও মন গলছে না স্ত্রী মৌমাছিদের। প্রজননের হার কমে গেলে কী হতে পারে? বিজ্ঞানীদের কথায়, শুধু মৌমাছি নয়, এই ফোরোমোন আরও অনেক পতঙ্গ ও প্রাণীর প্রজননে সাহায্য করে। বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে মিলিত হতে সাহায্য করে। এর ক্ষতি হওয়া মানে অনেক প্রজাতির অস্তিত্বে বিপদ ঘনিয়ে আসা।
বায়ুতে দূষণের মাত্রা না কমলে এর থেকে রেহাই নেই। এর ফলে ইকো সিস্টেমে ব্যালেন্সের অভাব দেখা দিতে পারে। সেটা হলে মানুষের জীবন আরও কঠিন হতে পারে। ক্যান্সার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগ বাড়তে পারে। তাই দ্রুত এই পলিউশন কমাতে না পারলে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে পৃথিবী।