এটা আসলে দৃষ্টিবিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশনেরই একটি ধাঁধা। অবসরে খেলার ছলে এই ধাঁধার সমাধান করার মজাই আলাদা। সময়ও ভাল কাটে, আবার মস্তিষ্কেও শান দেওয়া হয়ে যায়। আসলে একটা বিষয়কে আমরা যে-ভাবে দেখছি, আমাদের মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতাকেই চ্যালেঞ্জ করে এই দৃষ্টিবিভ্রমের ধাঁধা। এর মাধ্যমে নিজের আইকিউ-ও পরীক্ষা করে নেওয়া সম্ভব। আর অপটিক্যাল ইলিউশন বিভিন্ন ধরনের হয়। যথা - ফিজিক্যাল, সাইকোলজিক্যাল এবং কগনিটিভ। এখানেই শেষ নয়, এই অপটিক্যাল ইলিউশন আসলে কিন্তু সাইকোঅ্যানালিসিসেরই একটা অংশ। যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর আলোকপাত করে থাকে। এমনই এক অতি পুরনো বিজ্ঞাপনের ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, ছবিটিতে কী কী রয়েছে।
advertisement
বিজ্ঞাপনের ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ৩ জন তরুণ প্রতিবেশীর বাড়ির পিছনের বাগান দিয়ে শর্ট-কাটে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অথচ তাঁদের প্রতিটা গতিবিধির উপর যেন লুকিয়ে নজর রাখছেন এক পুলিশ অফিসার। কিন্তু সেই বিষয়ে ওই তিন তরুণ একেবারেই ওয়াকিবহাল নন।
বিষয়টা আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও আদতে তা কিন্তু একেবারেই নয়। আসলে ওই ছবিটিকে খুঁটিয়ে দেখলে তবেই বোঝা যাবে ওই পুলিশ অফিসারের উপস্থিতি। ফলে ওই পুলিশ অফিসারকে খুঁজে বার করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছে বহু মানুষ। তাহলে কি খুঁজে পাওয়া গেল পুলিশ অফিসারকে? যদি না-পাওয়া যায়, তাতেও সমস্যা নেই। আমরাই বলে দিই, কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন তিনি! ছবিটিকে উল্টো করে দেখতে হবে। যাতে ওই তিন তরুণের মাথা থাকে নিচের দিকে এবং পা থাকে উপরের দিকে। এবার ওই তিন জনের পিছনে থাকা গাছের ডালের দিকে তাকালে বোঝা যাবে যে, ডালপালার ফাঁকেই মিশে রয়েছেন পুলিশ অফিসারের মুখটা। আসলে এই ছবিতে পুলিশ অফিসারের মুখের আউটলাইনটা ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে একেবারে মিশে গিয়েছে। যার ফলে সেটা খুঁজে বার করা খুবই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজকের চ্যালেঞ্জটা কি একটু কঠিন ছিল? কোনও ব্যাপার নয়! কারণ যত কঠিন ছবির ধাঁধা সমাধান করা হবে, ততই মস্তিষ্ক ক্ষুরধার তীক্ষ্ণ হবে!