এই প্রাথমিক ব্যাপারটাই আদতে অপটিক্যাল ইলিউশনের প্রাণ। মানে, সবার প্রথমে কী চোখে পড়ছে। আপাতত যে ছবিটার কথা হচ্ছে, সেটার বিষয়েই না হয় এবার সরাসরি ঢুকে পড়া যাক! আমরা দেখতে পাচ্ছি সুন্দর এক সাজানো-গোছানো, ঝকঝকে-তকতকে বাথরুমের ছবি। যেমনটা বিদেশের বাথরুম হয়ে থাকে, সেই রীতি মেনে কাবার্ডের ওপরে দেখা যাচ্ছে এক বেসিন, তার পিছনে আয়না, বেসিনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা স্নানের, দাঁত মাজার, চুল শুকানোর নানা সরঞ্জাম, একটা টয়লেট পেপার রোলও দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে ঢাকনা নামানো কমোড, দেওয়ালে হুকে ঝোলানো তোয়ালে, শাওয়ার কার্টেন। কিন্তু এই সবের মধ্যে রয়েছে একটা মোরগও?
advertisement
প্রশ্ন তুলতেই পারেন অনেকে- বাথরুমে মোরগ থাকবেই বা কেন! সেই কূটকচালিতে গিয়ে আপাতত লাভ নেই। মোরগ গা-ঢাকা দিয়েছে বাথরুমে, খুঁজে বের করতে হবে তাকে আর তার জন্য ৭ সেকেন্ডের বেশি সময় নেওয়া যাবে না। ওর চেয়ে বেশি সময় নিলে প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়াবে আমাদের বুদ্ধিমত্তা আর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা। মাত্র ৫ শতাংশ, যাঁরা অসাধারণ বুদ্ধিমান আর তুখোড় চোখ যাঁদের, তাঁরাই না কি ৭ সেকেন্ড বা তারও কম সময়ে বাথরুম থেকে মোরগটাকে খুঁজে বের করতে পেরেছেন।
আমাদের ধারণা, পাঠক-পাঠিকাদের অনেকেই এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন মোরগটা কোথায় আছে। যাঁরা পাননি, তাঁদের সবার প্রথমে বলা ভাল যে এর জন্য অপ্রস্তুত হওয়ার কিছু নেই। যাঁরা ৭ সেকেন্ডে খুঁজে পেয়েছেন মোরগ, তাঁরা দারুণ বুদ্ধিমান, কিন্তু আমরা যারা পাচ্ছি না, তারা যে বোকা এমনটা আদপেই নয়।
তাহলে মোরগ কোথায় আছে?
আয়নাটা নজর করতে হবে, ওখানেই এক কোণে জাকুজির আড়ালে প্রায় মিশে রয়েছে মোরগটা; এবার খুঁজে পাওয়া গেল তো?