ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের মেরঠের। মেরঠের লিসাদি গেট থানা এলাকার সামার গার্ডেনে সম্প্রতি সেই এলাকার বাসিন্দা ফারুকের মেয়ে গুলাফসার সঙ্গে রোহটার বাসিন্দা এক যুবকের বিয়ের আসর বসেছিল। নিকাহ সব নিয়ম মেনে আনন্দের সঙ্গেই শেষ হয়। এর পর আসে সালামির পালা। আর সেখান থেকেই মুহূর্তে তপ্ত হয়ে ওঠে বিয়েবাড়ির পরিবেশ।
আরও পড়ুন– রাশিফল ২৫ নভেম্বর: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
advertisement
জানা গিয়েছে যে নিকাহ শেষ হওয়ার পরে মেয়েপক্ষের পক্ষ থেকে বরপক্ষের লোকেদের সালামি দেওয়া শুরু হয়েছিল। সব কিছুই চলছিল ঠিকঠাক ভাবে। আচমকাই বরের বন্ধু আহাদ আলি আরও কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কনেপক্ষের মেয়েদের মেয়েদের মাঝে ঢুকে পড়েন এবং সালামি দিতে থাকেন। এই বিষয়টি কনে গুলাফসার বাবা ফারুক খুব একটা ভাল ভাবে নিতে পারেননি। তিনি রেগে গিয়ে বরের বন্ধু আহাদ আলিকে অভব্য আচরণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেন। কিন্তু তাঁর কথায় কাজ হয়নি- আহাদ আলি ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন– প্রতিদিন স্টেশনে যেতেন যুবক, জিআরপি ধরতেই গোপন কথা ফাঁস! চাকরি গেল চার কনস্টেবলের
এই সময় পরিস্থিতি খারাপ দিকে যাচ্ছে দেখে গুলাফসা কাঁদতে শুরু করেন। তিনি স্বামীকে অনুরোধ করেন আহাদ আলিকে নিবৃত্ত করার জন্য। কিন্তু এতেও কাজ হয়নি। এর পর দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়, যা খুব শীঘ্র হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। জানা গিয়েছে যে এই বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য পঞ্চায়েত ডাকা হয়েছিল, কিন্তু তার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে এসে বরপক্ষের পক্ষ থেকে গুলি চালানো শুরু হয়।
গুলি চলতে শুরু করলে অনুষ্ঠানে আগতরা প্রাণরক্ষার তাগিদে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। এই বিশৃঙ্খলায় একজন পদদলিত হন বলে জানা গিয়েছে। ফয়জান নামের কনেপক্ষের এক আত্মীয় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। উপায় না দেখে এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পৌঁছনোর আগেই আহাদ আলি এবং তাঁর বন্ধুরা ফারুকের একটি নোটভর্তি ব্যাগ লুঠ করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ফয়জানকে হাসপাতালে পাঠায়। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত চালাচ্ছে। কনে এবং বরপক্ষের সমস্ত সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।
