TRENDING:

দেখতে সাপের ফণা, ভিতর থেকে দুধ বেরয়, মনসা গাছে রয়েছে এমনই অনেক বৈশিষ্ট্য

Last Updated:

ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা পঞ্চমী তিথি পর্যন্ত পুজো হবে ৷ প্রধান্ত রাঢ় বঙ্গে ভাদ্র মাসে অরন্ধন পালিত হয় ৷ ওইদিন কোনও রান্না করা হয় না ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: অধিকাংশ ক্ষেত্রে, প্রতিমায় মনসা পূজা করা হয় না। মনসা পূজিতা হন স্নুহী বা সীজ বৃক্ষের ডালে অথবা বিশেষভাবে সর্পচিত্রিত ঘট বা ঝাঁপিতে। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার পর যে পঞ্চমী তিথি (শ্রাবণ)তাকে নাগপঞ্চমী বলে। আজ নাগপঞ্চমী ৷ মনসা পুজোর দিন ৷ এই পুজো করা যায় এক মাস ধরে ৷ ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা পঞ্চমী তিথি পর্যন্ত পুজো হবে ৷ প্রধান্ত রাঢ় বঙ্গে ভাদ্র মাসে অরন্ধন পালিত হয় ৷ ওইদিন কোনও রান্না করা হয় না ৷ আগের দিনের রান্না করে রাখা খাবার পরের দিন খাওয়া হয় ৷ তাকেও মনসা পুজো অরন্ধন বলে। সাপ আর লোকাচার মনসামঙ্গল থেকেই প্রচলিত।
advertisement

দেবী বন্দনা করে মনসা ঘটে জল ভরা হয়। আশপাশের কোনও পবিত্র জলাশয়কে বেছে নেওয়া হয় এই কাজের জন্য। জলাশয়ের দু’পাড়ে দু’দল সাপুড়ে ঢাক বাজায়।

আরও পড়ুন: নিজের মানস কন্যা মনসাকে দেখে কামাতুর হয়েছিলেন স্বয়ং শিবও

advertisement

তবে জানেন কী, এই মনসা গাছের মধ্যে রয়েছে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য ৷ এই গাছ দেখতে অনেকটা সাপের মতো ৷ গাছের পাতাগুলি যেন সাপের ফণা ৷ আর গাছের কষ একদম সাদা দুধের মতো ৷ সাপের সঙ্গে এত মিল থাকায় এই গাছকে দেবী মনসা রূপে পুজো করা হয় ৷ তবে এই গাছের বেশকিছু ঔষধি গুণ রয়েছে ৷ দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী---

advertisement

আরও পড়ুন: জেনে নিন মা মনসার পুজো পদ্ধতি ও সহজ মন্ত্র

১৷ হুপিং কাশি এমনকী ফরেনজাইটি হলে মনসা পাতা একটু গরম করে তার রস চিনি বা নুন মিশিয়ে খেলে উপশম হবে ৷

২৷ যে কোনও ধরণের এগজিমা (চুলকানি, খোস পাঁচড়া) হলে এই গাছের রস লাগালে কমে যায় ৷

advertisement

৩৷ সাপের কামড় বা দেহের কোনও অংশে জ্বালা হলে প্রাথমিকভাবে এই পাতার রস সেই জ্বালা কমাতে সাহায্য করে ৷ তবে সাপে কামড়ালে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে ৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

৪৷ রসবাতের ক্ষেত্রেও এই পাতার রস দুধে মিশিয়ে খেলে উপশম হয় ৷

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
দেখতে সাপের ফণা, ভিতর থেকে দুধ বেরয়, মনসা গাছে রয়েছে এমনই অনেক বৈশিষ্ট্য