মথুরা: তিনি মথুরার মহিলা কনস্টেবল। তাঁর দাপটে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায়। সেই তিনিই কি না ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর প্রেমে হাবুডুবু। শুধু তাই নয়, বিয়েও করতে চান। তাই লিঙ্গ বদলে পুরুষ হওয়ার আবেদন জানালেন ওই মহিলা কনস্টেবল।
দিল্লি পুলিশের সদর দফতরে লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। বিষয়টা সামনে আসার পর ম্থুরা পুলিশের কাছে সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা কনস্টেবল মথুরার নৌঝিল এলাকার বাসিন্দা। ২০১০ সালে তিনি পুলিশে যোগ দেন।
advertisement
২০১০ ব্যাচের ওই মহিলা কনস্টেবল পরিবারের সঙ্গেই থাকেন। বান্ধবীর প্রেমে কীভাবে পড়লেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে এই ঘটনার কথা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই মহিলা কনস্টেবলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা বলছেন, হ্যাঁ, সত্যিকারের প্রেম তো এমনই হয়।
এদিকে ম্থুরা পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি মহিলা কনস্টেবলের গ্রামের বাড়িতে যায় ম্থুরা পুলিশের বিশেষ দল। তাঁরা মহিলার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিশদ রিপোর্ট দিল্লি পুলিশকে পাঠানো হবে। তারপর নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
এটাই প্রথম নয়। রাজস্থানের ভরতপুরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সবিতা নামের এক তরুণী জয়পুরের একটি কোচিংয়ে পড়তে যেতেন। সেখানে পূজা নামের এক পড়ুয়ার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। প্রথমে বন্ধুত্ব, সেখান থেকে প্রেম। শেষমেশ তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
খবর অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩১ মে ইনদওরে লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হন সবিতা। তারপর ২০২৪ সালের নভেম্বরে পূজাকে বিয়ে করেন তিনি। জয়পুরের আর্য সমাজ মন্দিরে সবিতা ও পূজার চারহাত এক হয়। এই ঘটনা নিয়েও সেই সময় ব্যাপক চর্চা হয়েছিল।
লিঙ্গ পরিবর্তন একটা জটিল প্রক্রিয়া। চিকিৎসাগত দিক থেকে তো বটেই, আইনি ও সামাজিকভাবেও নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। নানা বাধা আসে। সে সব অতিক্রম করতে হবে। তবে প্রেম আর কবে বাধার সামনে মাথা ঝুঁকিয়েছে।
মহিলা কনস্টেবলের আবেদন নিয়ে এত কথা ওঠার অন্যতম কারণ, তিনি সরকারি কর্মচারী। এখন দেখার, দিল্লি পুলিশ তাঁর আবেদন মেনে নেয় কি না। তাই মহিলা কনস্টেবলের প্রেম পূর্ণতা পাবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে নেটিজেনরা আশাবাদী। তাঁরা বলছেন, যুগ এখন অনেক বদলে গিয়েছে, ট্যাবু ভাঙার এটাই তো সময়।