কিন্তু ঠিক কী কারণে এমন ঘটনাটি ঘটেছে? জানা গিয়েছে, ওই নারী আর পাঁচজনের মতো সাধারণ ছিলেন না। সুদীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি গোপন এক চক্রের কেন্দ্রে, যিনি প্রেম, বিশ্বাস ও বিয়ের নাম করে প্রতারণা করতেন। দিনের পর দিন লুঠ করেছেন বড়লোক ব্যক্তিদের৷
আরও পড়ুন: ছিঃ এমন কেউ করে! দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের গো*পনা*ঙ্গে ‘কলিন’ স্প্রে শিক্ষকের! তারপর যা হল…
advertisement
পেশায় এক সময়ের শিক্ষিকা সমীরা ফাতিমা অন্তত আটজন পুরুষকে বিয়ে করেছেন। তবে এগুলো ভালোবাসার বিয়ে ছিল না—প্রতিটিই ছিল পরিকল্পিত প্রতারণার অংশ। তার লক্ষ্য ছিল একটাই, টাকা। তিনি বেছে নিতেন আর্থিকভাবে সচ্ছল, বেশিরভাগই বিবাহিত মুসলিম পুরুষদের। আর সুযোগ বুঝেই প্রত্যেকের ঘাড়ে কোপ বসাতেন৷
সমীরার কৌশল ছিল নিখুঁত। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট আর ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মে নিজেকে ডিভোর্সি ও সন্তানের মা বলে পরিচয় দিতেন। আবেগঘন গল্প শুনিয়ে মন জয় করতেন। যখন সম্পর্ক গাঢ় হত, তখন হতো নিকাহ। তারপরই শুরু হতো আসল খেলা—আইনি হুমকি, সামাজিক বদনামের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি।
একজন অভিযোগকারী জানিয়েছেন, এক ভুক্তভোগীর থেকে তিনি ৫০ লক্ষ এবং আরেকজনের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন। এমনকি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্মীরাও তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এর আগেও গ্রেফতারি এড়াতে সমীরা নিজেকে গর্ভবতী বলে দাবি করেন। তবে এবার পুলিশের জালে পড়েছেন ঠিকই।
নাগপুর পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। সমীরার সঙ্গে কে কে জড়িত, কত বড় চক্র চলছে এর পেছনে, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—বিশ্বাস যখন ব্যবসা হয়ে যায়, তখন সম্পর্কের ভিতই নড়ে যায়।