হিমাচল প্রদেশের কুল্লু জেলার ঘটনা। ৭ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন প্রিসিলিয়া। প্রায় এক সপ্তাহ পর সন্দেহজনক অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রিসিলিয়ার দুই বন্ধু এবং হোটেলের কেয়ারটেকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে প্রিসিলিয়ার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন- একসঙ্গে ১৯টি সিনেমা করেন; শ্রীদেবীর প্রেমে পাগল ছিলেন এই মেগাস্টার
advertisement
১২ অগাস্ট মানালি পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন প্রিসিলিয়ার পরিবারের সদস্যরা। শুরু হয় তদন্ত। প্রিসিলিয়ার শেষ অবস্থানের উপর ভিত্তি করে তাঁর দুই বন্ধুকে খুঁজে বের করে পুলিশ। তারপর ১৫ মাইল দূরে বিয়াস নদীর পাটলিকুহালের কাছে উদ্ধার হয় দেহ।
কুল্লুর এসপি কার্তিকেয় গোকুলচন্দ্রন সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ৭ অগাস্ট বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন প্রিসিলা। তারপর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে যান মানালি। সেখানে ব্ল্যাক ম্যাজিক নামের একটি হোটেলে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে ছিলেন তাঁরা।
এরপর কী ঘটে তা এখনও জানা যায়নি। সেখান থেকে বিয়াস নদীতে কীভাবে প্রিসিলিয়া গেলেন, তাঁকে কে বা কারা খুন করল, সে সবই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ব্ল্যাক ম্যাজিক হটেলেই প্রিসিলিয়ার শেষ টাওয়ার লোকেশন পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন- বিহারে রয়েছে আজব পাহাড়, বৃষ্টি হলেও বের হয় মূল্যবান রত্ন! ভিড় করে খুঁজতে আসেন গ্রামবাসীরা
এসপি জানিয়েছেন, প্রিসিলিয়ার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মান্ডির নেরচক মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তাঁর দুই বন্ধু নিশান্ত ওরফে নিশু এবং অর্চিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
প্রিসিলার বাড়ি মানালি থেকে ৮ কিমি দূরে খাকনায়। তিনি কয়েকজন যুবকের সঙ্গে একটি গাড়িতে করে ব্ল্যাক ম্যাজিক হোটেলে আসেন বলে জানা গিয়েছে। হোটেলটি মানালি শহর থেকে ৫ কিমি দূরে ওল্ড মানালিতে অবস্থিত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, প্রিসিলার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে ১৫ কিমি দূরে।
জানা গিয়েছে ১০ অগাস্ট থেকে প্রিসিলিয়ার মোবাইল অফ ছিল। তারপরেই পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ জানান। আশ্চর্যজনক বিষয় হল, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাজ নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। মানালি শহরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়েছে কি না এখনও জানা যায়নি। পুলিশ কখন হোটেলে জিজ্ঞাসাবাদ করল এবং কী তথ্য পেল, তাও অজানা।