পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিপুল মদের চালানটি অর্ডার করেছিলেন কুখ্যাত মদ ব্যবসায়ী নসিম আপার জামাই সলমন ওরফে পিন্টু পাঠান। তিনি ভাটাওয়ার এক চোরাচালানি মদ সরবরাহকারীর কাছ থেকে বোতলগুলি সংগ্রহ করেন। তদন্তে উঠে এসেছে, পুরো চালানটি নসিম আপার অবৈধ মদ ব্যবসার জন্যই আনা হয়েছিল।
উৎসবের রাত আতসবাজি, সেলফিতে মজে…ট্রেনের হর্ন শুনতে পেল না কেউ! পিষে গেল ৬১ প্রাণ!
advertisement
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভেজালপুর থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর আর.এস. পরমারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল অভিযান চালায় জুহাপুরার সাফল রেসিডেন্সি এলাকায়। অভিযান চলাকালীন পুলিশ আটক করে তিনজনকে—মহেবুব কুরেশি, হুসেনমিয়া জাম্মিয়ানা এবং সাহিল জাম্মিয়ানা। তাঁদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় ১,৬৫৬ বোতল মদ ও বিয়ার।
জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে যে, এই চালানের মূল পরিকল্পনাকারী ও সুফলভোগী ছিলেন নসিম আপা। তিনি এবং তাঁর জামাই সলমন পাঠান বর্তমানে পলাতক। পুলিশের অনুমান, তাঁরা দু’জনেই আহমেদাবাদে চলা বৃহত্তর মদ চোরাচালান নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
এই অভিযানটি শহরজুড়ে চলা পুলিশি নজরদারির অংশ, যেখানে সম্প্রতি একাধিক জায়গায় মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও এই চক্রগুলি নিয়মিত মদ পাচার করে চলেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। যুক্ত রয়েছে একই পরিবারের একাধিক সদস্য। জুহাপুরার সাফল রেসিডেন্সিতে পুলিশি অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১,৬৫৬ বোতল মদ ও বিয়ার, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫.৮ লক্ষ টাকা।
অভিযুক্ত তিনজনকে ইতিমধ্যে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহ করছে। নসিম আপা ও সলমন পাঠানকে গ্রেফতার করা গেলে রাজ্যের মদের চোরাচালান চক্রের আরও গভীর দিক উন্মোচিত হতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।