শনিবার মৈনপুরীর কিশনির কালেক্টর অফিসে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনছিলেন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনী কুমার সিং। উপস্থিত ছিলেন এসপি বিনোদ কুমার সিংও। সেখানেই মেয়েকে নিয়ে অভিযোগ জানাতে আসেন বহরামউ গ্রামের বাসিন্দা অশোক কুমারের স্ত্রী রাধাদেবী।
advertisement
রাধাদেবীর অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও প্রভাবশালীরা তাঁর জমি দখল করে রেখে দিয়েছে। তিনি কোনওভাবেই জমি উদ্ধার করতে পারছেন না। ডিএম বলেন, বিষয়টা এসডিএম আদালতে বিচারাধীন। তাই অভিযোগের কথা অফিসে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে।
এরপরই ডিএমের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন মা-মেয়ে। তাঁদের দাবি, এখনই বিষয়টার নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ, ডিএম-কে অপমানও করেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না করলে এখানেই “জীবন দিয়ে দেব” বলে হুমকিও দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-‘বিয়েতে না এলে…’ নিমন্ত্রণ পত্রেই ‘ধমক’ অতিথিকে ! হরিয়ানভিতে লেখা বিয়ের কার্ড ভাইরাল
রাধাদেবীর অভিযোগ, গ্রামের বাসিন্দা সুনীল, অনিলের ছেলে সুভাষ, কাশীরাম, রাকেশ এবং বিবেকের ছেলে হরিবক্স মিলে তাঁকে জমি থেকে বের করে দিয়েছে। রাজস্ব পরিদর্শক তাঁর জমি মেপে চিহ্নিত করে দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তরা ফের মাপজোক করায়। আগের চিহ্ন মুছে নতুন করে চিহ্ন লাগিয়ে দেয় তারা।
এসডিএম গোপাল শর্মা জানিয়েছেন, মহিলার মামলা এসডিএম কোর্টে বিচারাধীন ছিল। কিন্তু শুনানিতে বারবার অনুপস্থিতির কারণে মামলা বাতিল হয়ে যায়। তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী, আপনাকে ফের আদালতে মামলা করতে হবে। রিস্টোর হওয়ার পরই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।”
কিন্তু রাধাদেবী ও তাঁর মেয়ে দিব্যা সে সব শুনতে নারাজ। তাঁরা ডিএম-এর সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। এমনকী অভব্য আচরণও করেন বলে অভিযোগ। শেষে আত্মহত্যার হুমকি দেন। তখনই দুই মহিলাকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন ডিএম। মহিলা পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। রাধাদেবী ও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গের অভিযোগে মামলাও দায়ের হয়। পরে অবশ্য তাঁদের সতর্ক করে জামিনে মুক্তি দেন এসডিএম গোপাল শর্মা।
ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনী কুমার সিং বলেন, “কাউকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিইনি। মা-মেয়ের কিছু জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তাঁদের সব কথা শুনি। পুরো বিষয়টি তদন্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দিই। কিন্তু তাঁরা কোনওকিছুই শুনতে রাজি ছিলেন না। বারবার হুমকি দিচ্ছিলনে। তখন সুরক্ষার জন্য তাঁদের থানায় পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর তাঁরা শান্ত হন।”